"যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে"
- Md. Osmangani shuvo ১৯-০৪-২০২৪

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে
তখন আমি বুঝি,
এর বুকে,এর হৃদয়ে অনেক কষ্ট।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে প্রিয়তমার দিকে তাকিয়ে
তখন আমি বুঝি
এর প্রিয়তমা বেঁচে থেকে মৃত,এর কাছে।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে ভিসুভিয়াস-ফুজিয়ামার দিকে তাকিয়ে,
তখন আমি বুঝি,
এর জীবনটা কষ্টে উত্তপ্ত গলিত লাভার মত জ্বলছে।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে সবুজ মায়াবী বৃক্ষের দিকে তাকিয়ে
তখন আমি বুঝি,
এর জীবনও বুঝি সবুজ ছিল।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে কালো মেঘের দিকে তাকিয়ে
তখন আমি বুঝি,
এর জীবনেও বুঝি কালো মেঘ ছিল না,আজ যা আছে।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে অন্যের প্রিয়তমার হরিণীচক্ষুর দিকে তাকিয়ে
তখন আমি বুঝি,
এর প্রিয়তমারও বুঝি হরিণীচক্ষু ছিল।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে সফেদ কাপনের কাপড়ের দিকে তাকিয়ে
তখন আমি বুঝি,
এর প্রিয়তমাও বুঝি সফেদ কাপড়ের আন্ধারে।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে বৃষ্টি-ঝরা-দিনে
তখন আমি বুঝি,
এরাও একদিন ভিজেছিল দুই নয়ন-বৃষ্টির জলে।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে সাদা বকের দিকে তাকিয়ে
তখন আমি বুঝি,
সে ছিল ছোট পুঁটি- রাজকন্যার খোঁজে।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে নরম ঘাসের দিকে তাকিয়ে
তখন আমি বুঝি,
এই ঘাস একদিন তাঁদের অমর প্রেমের স্বাক্ষী ছিল।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে এ নবীন বটের ঝিলিমিলি পাতার দিকে তাকিয়ে
তখন আমি বুঝি,
একদিন তাঁদের যৌবনও ঝিলিমিলি করেছিল নবীন বটের মতো।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে অন্যের প্রিয়তমার গলার হারের দিকে তাকিয়ে
তখন আমি বুঝি,
একদিন সেও বুঝি প্রিয়তমার গলায় হার পরিয়ে দিয়েছিল।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে অন্যের প্রিয়তমার কস্তুরী কেশের দিকে তাকিয়ে
তখন আমি বুঝি,
সেও একদিন হয়ত ঐ বটতলায় বসে কারো চুল বেঁধে দিয়েছিল।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে অন্যের প্রিয়তমার কর্ণযুগলের দুলের দিকে তাকিয়ে
তখন আমি বুঝি,
সদিন হয়তো সেও এই কর্ণদুল কিনে পরিয়ে দিয়েছিল তাঁর প্রিয়তমার কানে।

যখন কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, তখন আমি বুঝি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আলটিমেট কোন লাভ নেই!
দীর্ঘশ্বাসগুলো উড়িয়ে দাও, দেখবে প্রেমের বৃষ্টি নামবে এ বসুন্ধরায়।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।