অভিমানের চিঠি-০৩
- নিগার সুলতানা রুমি ২৬-০৪-২০২৪

সেদিনের পর আর একটি লাইনও লিখিনি
এখন যেখানে আছি সেই জায়গাটা
আমাদের উপমহাদেশেরই কোন এক
অখ্যাত পল্লী..
আমাদের সাথে ভাষার খুব বেশ পার্থক্য নেই এদের
পার্থক্য নেই আচার এবং আচরণেও
আমি এখানে কাজ করছি আজ দিন দশেক হলো,
ছোট্ট একটা জরিপের কাজ
আর হয়ত দিন পাঁচেক লাগবে কাজ শেষ হতে
এরপর যাব মরুভূমির দেশে
এদেরই একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের সাথে
আমার কাজটা খুব বেশি বড় নয়
আর ভাষাটাও বেশ কাছাকাছি হওয়ায়
এখানে ঘুরে ফিরে কাজ করতে বেশ লাগছে।
জানা শোনা হচ্ছে কত্ত রকম সব মানুষের সাথে..
ভাবতে অবাক লাগছে মাসখানেক আগের আমি
কোথায় ছিলাম আর আজ চলেছি কোথায়?!

দিনগুলো বেশ চলে যায় ব্যস্ততায়
আর সাথে রাতের অর্ধেকটাও...
তারপর রাতের নির্জনতায়
ঝিঁ ঝিঁ ডাকা প্রহরে
কাঠের মাচায় শুয়ে শুয়ে
সময়টা আর কাটতে চায় না।
কেন জানি খুব কান্না পায়,
কেন পায়? কে জানে?!
এ কান্না কি বেদনার? না কি হতাশার!
না কি সবকিছু ছেড়ে এই বাউন্ডেলে জীবনটাকে
একা বয়ে বেড়াবার ভয়ে? কিংবা অপ্রাপ্তির?!
ঠিক কোন আবেগে যে দু'চোখের জলে ভিজে যাই
জানি না!

মন্দ লাগে না এই নির্জন গাঁয়ের
মধ্যরাতের শুনশান নীরব আকাশ,
জ্বলজ্বলে নক্ষত্র ফোটা রাত্রি
আর জোনাকির আলোয় ভেজা ভোর!
জানো,এখানকার মানুষগুলো আমাদের মতই
একই রকমভাবে হাসে,কাঁদে, কথা ক'য়।
আচ্ছা,তুমিও কী আমার মতই আমায় ভালবাসতে?!
এমনি করেই বুঝি আমায় চাইতে,ঠিক এভাবেই
এদেরই মত করে কান্না-হাসি-ভালবাসায়।।

জানুয়ারি, ২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।