বেরসিক জীবন
- মোহাম্মদ তন্ময় সাত্ত্বিক - বেরসিক জীবন ২৮-০৩-২০২৪

পৌষের বাতাস বয় উত্তর থেকে দক্ষিণে,
আর চৈত্রের বাতাস দক্ষিণ থেকে উত্তরে।
আমার জীবনে পৌষ আসে, আসে চৈত্রও।
কিন্তু সুখ নামক ঘরের জানালাগুলো
সবসময় উত্তরমূখীই রয়ে যায়।
তাই পৌষের শীতে হিমেল হাওয়ায় জমতে হয়,
আর চৈত্রের দিনে বাতাসহীনতায় হয় ঘামতে।

অন্ধকারে বাস আমার। অথচ আমি কিনা
সূর্যকিরণে উদ্ভাসিত আলোক ঝলমলে দিনের প্রত্যাশী।
আমার স্বপ্ন আর বাস্তবের মাঝে তাই বিস্তর ফারাক।
তবুও আমি বিশ্বাস করি একদিন এই ফারাক ঘুচবেই।

আজ অবধি আমার আকাশ অমাবস্যায় ঢাকা।
চাঁদের উপস্থিতি পর্যন্ত নেই। কিন্তু সেখানে
মিটিমিটি জ্বলতে থাকা সাহিত্যেরুপী নক্ষত্রগুলো
আমাকে আলোর দিশা দেই। বলে-
একদিন এই অন্ধকার ঘুচবেই,
পূর্নিমা চাঁদ এসে মনকে রাঙাবেই,
সূর্যরাঙা ভোর এসে জীবনকে হাসাবেই।

আমিও বড্ড বোকা!
তাদের কথার ফাঁকিতে ভুলে মিছেই
কথার উপমা সাজাই।
হতে চাই কবি, হতে চাই সাহিত্যিক।
অথচ আমি সামান্য প্রেমিক মাত্র-
একটুকরো ভালোবাসায় আচ্ছাদিত
কাদামাটির একটা হৃদয়ই আমার একমাত্র সম্বল!

এইতো জীবন, বড্ড বেরসিক জীবন!
তবুও তাকেই ভালোবাসতে হয়।
যন্ত্রণার অনলে বারবার নিজেকে পুড়ানোর বাসনায় !

০৬ মে ২০১৫
রুপসা, খুলনা

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।