বেদনা
- মোহাম্মদ তন্ময় সাত্ত্বিক - বেরসিক জীবন ২৩-০৪-২০২৪

আমার জ্ঞান ফিরেছে অবশেষে;
একটা সূদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছি জ্ঞানহীন বেশে।
অনেক কাঁটা বিঁধেছে পায়,
কিন্তু প্রতিবারই আশার সূঁচে মুছে ফেলেছি
সেই বেদনার চিহ্ন।
তবে এখানেই শেষ নয়- অনেক গ্লানি
মুছে ফেলা সুখের সন্ধানী হৃদয়ে
আবারও নেমেছে অপরাহ্ন!

নেমেছে সে অপরাহ্ন আভাসহীন বেশে
অনেক জল ঝরেছে তাই দুচোখ হতে,
সময়ের কালস্রোতে আজ নেই চোখে জল;
হৃৎপিন্ডের চারটি প্রকোষ্ঠে
আস্তানা পাতা বেদনার কষ্টে-
গড়েছে হাজারো ক্ষতের পুষ্ট ফসল;
সে দুঃখের কিচ্ছা না জানে কোনোজন,
নীরবে- নিভৃতে শুধু ভাঙে যে স্বপন!

যা ছিল গর্বের -মানের, আজ তা নাই
বেদনার কালস্রোতে একে একে সবই যাই,
গেছে সুখ ভেঙে বুক, এখনো কাদম্বিনী
রয়ে গেছে বেদনার আকাশে,
যা জানি অঝর বর্ষনে আবারো ডুবাবে বাড়িঘর!
সামনে দুঃখের ক্ষণ- ভয়ে থাকে মোর মন
নেত্র স্বপ্নহীন দেখে না স্বপন,
আপনও যে এই ক্ষণে হয়ে যায় পর!

ফিরলো জ্ঞান, তবে অনেক পরে-
যখন এ হৃদয় থেকে প্রেম গেছে মরে;
আছে শুধু শূন্যতা- হাহাকার নিয়ে
কালো কলিজা কুঠির বক্ষ জড়িয়ে।
আছে যত আত্মীয়, আছে যত স্বজন,
জানে না কেহ মোর ব্যাথা ভরা মন;
ভালোবাসা দেয় নি তিঁলসম সুখ
গড়েছে বসত বুকে বেদনা অসুখ!

সেই যে অনেক আগে-
যখন লুকোচুরি- গোল্লাছুট খেলা হলো বেশ
শৈশবের বিহঙ্গসদৃশ জীবনটা হয়ে গেল শেষ,
কৈশর এলো, তবে গেল না আবেশ শৈশবের-
সাত রঙেতে হৃদয় হলো আঁকা;
তখন মিলেছিল তার দেখা।
এখন সে রং মুছে কৈশরও হলো বুঝি শেষ,
পুরনো দুঃখরাজি আজো কাঁদায় মোরে বেশ !

৮ অক্টোবর ২০০৮
নিঝুমপল্লী, ঝিনাইদহ

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।