সমাধান
- ACHINTYA SARKAR/অচিন্ত্য সরকার[পাষাণভেদী] ২৬-০৪-২০২৪

সমাধান
অচিন্ত্য সরকার

হে গুরুদেব,সমাধান তো তুমি বহু যুগ আগেই দিয়েছো নাগিনীদের কাছে শান্তির ললিত বানীর ব্যর্থ হাহাকার। হে বিদ্রোহী, তুমি তো নিজ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছো, একই সাথে সুন্দরের জন্য সৃষ্টি করেছো সুরের অঞ্জলি দ্বিধাহীন স্পষ্ট সরলতায় বুঝিয়ে বলেছো বার বার, বাঁশি আর তলোয়ার-কোন টা দরকার, কখন কার জন্য কার। আমরা তোমাদের কথায় কান দেয়নি,করে চলেছি তর্ক তাই ছড়ায় আসুখ দুষ্ট সম্পর্ক,পুষ্ট হয় রাজনীতির সুখ আর ওঁরা বুকের রক্ত নিঙড়ে চলেছে যুগের পর যুগ। তাজা তাজা প্রান আর কচি কচি মুখ,ঘর ছেড়ে বহু দূরে বরফ মেখে পাহারা দেয়, আমাদের লেপ মুড়ি ঘুমের পুরে; ওঁদের রক্ত দেখলে,বড় কষ্টে মুচড়ে উঠে বুক।সংখ্যাতত্বের, ক্ষমতাতত্বের চলুক কাটাকুটি খেলা,চলুক তন্ত্র-মন্ত্রের সুখ। ঔদাহ্য,ঐতিহ্য,ন্যায়-নীতি;সর্বোপরি কুটিল জটিল ভোটমিতি; চলুক,সবই চলুক,কিন্তু কতো দিন!আর কিসের কিসের মূল্যে! মাটিতে পা রেখে নীতি হোক,যারা যত ইচ্ছা রাঙাক চোখ। রাঙা চোখে রেখে, দৃঢ় শান্ত চোখ,বজ্র কণ্ঠে ঘোষণা হোক, মানব অধিকার শুধু মানুষের জন্য,আর অস্ত্র অসুরের জন্য। জগদ্ধাত্রী মা অন্নপূর্ণা কেও আসুর দমনে অস্ত্র ধরতে হয় ধর্ম ও জগতের প্রয়োজনে,তবে কিসের দ্বন্দ্ব,কিসের ভয় ? শান্তির বার্তায় বার বার পরিহাস করেছে যারা,কঠিনতম দমন ছাড়া ,অন্য উপায় কিচ্ছু নেই,তাদের নিপাত করা।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।