পলাশীর যুদ্ধ স্মরণে
- আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান ২৬-০৪-২০২৪

পলাশীর আম্রকাননে সুবেবাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হলো,
বাঙ্গালী জাতি দু’শ বছরের পরাধীনতা শৃঙ্খলে আবদ্ধিত ছিলো।
কাশিম বাজার কুঠিতে মীরজাফর ইংরেজগন শলা পরামর্শ করলো,
জগতশেঠ রায়দুর্লভ উমিচাঁদ প্রমুখ ষড়যন্ত্রে সমর্থন দিয়ে গেলো।
বাংলার দুঃসময়ে নবাব সিরাজের পাশে থাকার পরামর্শ দিলেন,
সতের বছরের নবাব সিরাজদৌল্লা রাজ কর্মে সরল প্রানের ছিলেন।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর লর্ড ক্লাইভ ড্রেক প্রমুখ কুটমনে গেলেন,
নবাব সিরাজকে সিংহাসনচ্যুত করে মীরজাফর নুতন নবাব হবেন।
বাংলার মসনদ অদুর ভবিষ্যতে ইংরেজ কোম্পানীর নিশ্চিত রবে,
সতেরশ ছাপ্পান্ন ছয় জুন পলাশীর পান্তরে নবাব ইংরেজ যুদ্ধ তবে।
মীর মদন মোহন লাল বিরোচিত যুদ্ধ করে শত্রুদের কাবু করলো,
যুদ্ধের তান্ডব বিভিষীকা নবাবের বিজয় সূচনায় যেতে রং ধরলো।
ক্লাইভের কুটিল কৌশলের প্রস্তাব নবাব সিরাজ সমর্থন করে নিলো,
রাতের আঁধারে ক্লাইভ মীরজাফর মিলে নবাব শিবিরে হানা দিলো।
পলাশীর যুদ্ধ বাঙ্গালী জাতির বাস্তব শিক্ষার এক মর্মান্তিক ইতিহাস,
পরাধীনতার দুঃখ গ্লানি শেষ হবে কবে ইহারই ছিল হিসাব নিকাশ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।