সে মা ,সে চাকুরীজিবী
- মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা - আলো ২৫-০৪-২০২৪

আমি দেখেছি একজন চাকুরিজীবি মাকে,আমি বুঝেছি
কতো অসহ্য প্রহার তার জন্য অপেক্ষ করে,
শুধু একটু সামাজিক মযার্দা কিংবা অথনৈতিক মুক্তির জন্য
কর্মজীবি মায়েরা
ঘর থেকে বাইরে আসে; তবু তার মুক্তি নেই !
না আছে ঘরে, না আছে অলি গলি পথ ঘাট..
দায়িত্ববোধের দাবানলে পুড়তে পুড়তে সে এখন ক্লান্ত ।

আমি দেখেছি একজন চাকুরিজীবি মাকে,আমি বুঝেছি
কতো অব্যক্ত ভাষা তার হৃদয়ে গেঁথে আছে, সে কারো
করুণা কিংবা দয়া চায় না, শুধু একটু ভালবাসা চায়,
শুধু একটু পাশে চায়-
এই টুকুর মাঝেও কতো জনের কতো হিসেব নিকেষ
যেন সমস্ত দায়িত্ব তারই-

আমি দেখেছি এই যুগেও পশ্চাত মূখী সংস্কৃতির চর্চা
অনেকের কটুবাক্য শুনেও..
একজন চাকুরীজিবী মাকে
জীবন সংগ্রামে ক্ষত বিক্ষত হতে হয় ঘরে বাইরে
অথচ তারও আছে মর্যাদা নিয়ে বেচে থাকার অধিকার..
আমরা কি তা দেই ?

কেউ কি নারীকে ছাড় দিয়েছে দায়িত্ববোধের দায় থেকে ?
সে মা ,সে চাকুরীজিবী !
তাকেই দু’দিকই সামলাতে হয়
এক দিকে সংসার, অন্যদিকে কর্মস্থল
আর পুরুষ ?

এ সমাজ তাকে ছাড় দিতে শিখেনি, তার ক্লান্তি বুঝেনি
তার মূল্য বুঝতে চায়নি
অথচ এ “মা ” ই সংসারের দিপালী-

আমি দেখেছি একজন চাকুরিজীবি মাকে,আমি বুঝেছি
কতো অসহ্য প্রহার তার জন্য অপেক্ষ করে!
দায়িত্ববোধের দাবানলে পুড়তে পুড়তে সে এখন ক্লান্ত ।
------------------------------12-03-2019, রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।