অসময়ের সুখ
- Md Shamim Pramanik (Nimu) - ছোট গল্প ১৯-০৪-২০২৪

কফি শপে ঢুকে এক কাপ কফির চুমোকে কিছুক্ষণ আগের বিরক্তিকরটি দুর করতে পেরেছিলাম৷ সত্যিই কফি পান করার বিষয়টা বোধহয় একটা বাজে নেশায় নিক্ষিপ্ত করে নিয়েছিল আমায়! নইলে মাথা ব্যথার ঝিমঝিম ব্যথাটা কিভাবে এক কাপ কফি পানে দুর হয়ে যায়? আর যাহাই হোউক্ এই নেশাটা আমাকে অতি তারাতারি অবশ্যই ছাড়তে হবে! কারন এই কফি পান করায় অর্থনৈতিক ভাবেও আমাকে খুব ক্ষতি করে যাচ্ছে! এই মুহূর্তে বাজে নেশাটা আমার কাছে এখন তাহাই মনে হচ্ছে! কেননা আমাকে দৈনিক পাঁচ-সাত কাপের মত কফি পান করতে হয়, এছাড়া পান না করিলে ঐযে বলেছিলাম- মাথা ব্যথার ঝিমঝিম বিষয়টার কথা- সেটি বেড়েই যেতে পারে! এই সমস্যার কারনে দেখেছি- তাতে আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী প্রতি মাসে মোটামুটি বড় অংকের একটা টাকাও ব্যয় হয়ে যাচ্ছে! যে টাকাটি কফি পানে ব্যয় হচ্ছে_ তাতে হয়তো সেই টাকাটা দিয়ে অন্যন্য খরচ গুলিও খুব ভাল ভাবে হয়ে যেতে পারতো, সে ব্যাপারেও এখন তাহার সঠিক চিন্তা করতে পাচ্ছি!

তবে আর যেটাই হোউক্ না কেন_ এক কাপ কফির চুমোকে কিন্তু আমার মাথা ব্যথার অসহ্য ভাবটা মোটেও থাকতো না৷ এর জন্য ধন্যবাদ জানাই কফির সৃষ্টির অলৈকিক সেই জাদুকরকে৷ এবং এও অসংখ্য কৃতজ্ঞতা ও শোকর আদায় করছি_ ঐ মহান সৃষ্টিকর্তা এক আল্লাহ্ দয়াময়ের নিকট- যিনি আমার সর্বক্ষেত্রের এই রোগীর রোগটি এক চুমুক কফির মাধ্যমে সহজেই সেরে ফেলেছিলেন৷ সেই সাথে তাহার নিকট আমার অশেষ চাওয়া- তিনি যেন আমার এইসব বাজে অভ্যাস গুলিও অতি তারাতারি ছাড়ানোর সঠিক পথের সন্ধান ও ভাল একটা দিক উপনিত করে দেন৷

প্রমাণিত আছে- কেউ কাহারও জিবনের খারাপ দিকটা ভুল করেও বেছে নেন না, তবে এ জগতে্ কিছু স্বার্থচিন্তার আধারের মাঝে থাকা বন্দি কিছু মানুষ আছে- যারা কিনা তাদের নিজের বেশটা নিজেরাই খারাপ দিকের অংশে বাস্তব জীবনের সাথে লিপ্ত করে থাকেন! কিন্তু যখন ওরা এটাও বুঝতে পারেন যে_ এটা করা সঠিক হয়নি, কিন্তু তাহা ঠিক কিছুক্ষণ আগেই তাহারা সেটি সমাপ্তি করেছিলেন সেই চিন্তা ভাবনার সঠিক পথটি! পরে তার জন্য তারা আফসোস অনুতপ্তে এবং সারাটা রাতদিন বিরহ্ যন্ত্রণায় জেগে থাকতেন!

অতএব সে ভাবনার কল্পনাটিও তাদের অনর্থক ছিল এবং সেখান থেকে তার ফিরে আসতেও অনেক লড়াই করতে হয়ছিল কিন্তু ফিরতেও পারেনি কোনদিন কোনো সময়! আর শতবার লড়াই করার শেষে একদিন দেখা গিয়েছিল_ তাহাকেই মৃত লাশ হয়ে হাজারও মানুষের ভীড়ে বিভিন্ন কৈফিয়ত দিতে হয়েছিল সে সবের! এবং অনেক সময় তাহারই আপনজনেরা- কেউ না কেউ এসেও এমনি কৈফিয়ত দাবী করে বসেছিলেন!
এমতাবস্থায় সময় তাকে নিরুপায় করে দিয়েছিল, দুনিয়া থেকে শুধু তাহার দেহটাই রক্ষা করতে পেরেছিল এবং অন্য কোথাও চলে যেতে হয়েছিল!
কিন্তু পরে কি হবে? কি করবে? নিজেরাও সেটি বুঝতে পায়নি ও অন্য কেহই না! তাহার হৃদয়টা এখন কোন্ পরিস্থিতিতে আছে- তারও খোঁজ খবর নেওয়ার মানুষটি কেউ এসে জানতেও চায়নি যে_ তিনি কেমনে বেঁচে আছেন!

আজ এই কফি শপে কিছুক্ষণ বসে বসে আমিও অনুভব করেছিলাম যে_ মৃত্যু-এটিও আমার জন্য অবধারিত সত্য আর আমাকেও এক চিলতে সেখানেই চলে যেতে হবে! দুঃখ একটাই আমি ছুটেছিলাম শুধু এই দুনিয়ার সুখের খোঁজে! অথচ সুখ তো দূরের কথা...শুধু কেঁদে কেঁদে চোখের জল ঝরানো ছাড়া আর কিছুই পেয়েছিলাম না! সেই কাঁন্নার আওয়াজ এবং চোখের এত জল কেন, তাহার কারন সম্পর্কে কোন একটি ব্যক্তির কাছে গিয়েও সে মন খুলে জানাতে পারেনি এবং তাহা বলাটাও তাহার পক্ষে সম্ভব হয়নি! এবং যদিও কোনক্রমে জানাতো তবে তারার উৎসে হয়তো তারা মনে করে নিয়েছিল_ আমার এগুলি অভিনয় ছাড়া অন্য কিছুই ছিলনা! সর্বক্ষেত্রেই শুধুমাত্র অশান্তি আর গোপন যন্ত্রণার ভোগান্তি থেকে যেত৷

কফি শপের চেয়ার থেকে উঠে বাহিরের দৃশ্যটি আমার নজরে পড়লে তাতে দেখতে পেয়েছিলাম সমস্ত এলাকাটা এই কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল! রাস্তার ওপারের দোকানপাট গুলো সব আছে কিনা তাহাও ঠিক ধারনা করতে পাচ্ছিলাম না! কফি শপ থেকে বাহির হবো যে_ আমিও সে দেহ্ বলের শক্তিটা হারিয়ে ফেলেছিলাম! মনেমনে ভেবেছিলাম- হয়তোবা আজ ঘরে ফিরতে পারবো না, সেটিও একমাত্র আল্লাহ্ই জানেন!
তবে আমি নিজেকে অনেক কন্ট্রোল করেছিলাম, আবারও চেয়ারটায় খুব স্থির মনে বসে পরেছিলাম৷ এরপর আরো এক কাফ কপির অর্ডার দিয়েছিলাম, কিন্তু কফি শপের ছেলেটি সোজাসুজি বলে দিয়েছিল_

"ভাই কিছু মনে করবেন না_ একটু আগেই চুলোর আগুনটি নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে, কফি তো আর দিতে পারছি না! দেখছেন তো আকাশটার পরিস্থিতি তেমন একটা ভাল ঠেকছে না বরং খুব তারাতারি শপটি বন্ধ করে আমাদেরকেও ঘরে ফিরে যেতে হবে!"

আমার বলার কিছুই ছিলনা কফি শপের ছেলেটিকে! দুর্ভাগ্য কপাল আমার_ এখন আর কফিও পান করতে পারবো না! অবশ্য আকাশের দিকে লক্ষ্য করে আমিও চিন্তা করে দেখেছিলাম যে_ যত বিপদেই হোউক্ না কেন নিজের ঘরে এবার আমাকেও ফিরে যেতে হবে৷ এরপর সেই মুহূর্তে কফি শপ থেকে বাহিরে এসেছিলাম! এবং ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে খুব দ্রুত বেগেই রওয়া করেছিলাম৷ অনেক ভয় আর থরথরে দেহ নিয়ে এতটা রাস্তা বেয়ে ফিরে এসেছিলাম ঘরে!

ঘরে ফিরে এসে কিছুটা শরিরের কাপুনি সেরে গিয়েছিল আমার!
যতটা পথ হেটে এসেছিলাম তাতে পরনের শার্ট প্যান্টটায় হালকা কিছু কুয়াশা লেগে ভিজে গিয়েছিল, ভেজা পোষাক গুলি ঝটপট শরির থেকে খুলে পাল্টিয়ে নিয়েছিলাম৷ এরপর ঘরের দরজার খিলটি খুব মজবুত করে লাগিয়ে দিয়েছিলাম৷ একটু শীত শীত অনুভব করেছিলাম, ততক্ষণে বিছানায় উঠে কাঁথাটা শরিরে মুড়িয়ে নিয়েছিলাম, কাঁথা গায়ে দেওয়ার পর তাতে অতটা শীতের অনুভব লেগেছিল না! ঘরের বাহিরে কি হচ্ছে না হচ্ছে তাহা আর আমার নজরে পরেছিল না! আমি তাহার দেখারও বোধটি করেছিলাম না৷

কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর চোখের পাতা দুটি মাঝেমধ্যে একটু একটু টিপটিপ করতে করেছিল- অমনি অবস্থায় কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম সে খেয়ালের বিষয়টি ঘুমালে যাহা হয় তাহাই হয়েছিল আমার! একটুপরেই হঠাৎ কে যেন দরজায় এসে খটখট আওয়াজ করেছিল! আমি আধা ঘুমান্ত অবস্থায় শব্দ শুনতে পেয়ে তাকে প্রশ্ন করেছিলাম_ কে?
কোনো সারা শব্দ পেলাম না! আবারও সেই একই শব্দ কানে এলো! এবার একটু চোখ দুটো মেলিয়ে নিয়েছিলাম- গলার আওয়াজটি এবার একটু বড় করে বললাম_ কে..? কে ওখানে...? এবারও কারো সারা পেলাম না! কিছুক্ষণ পরপর শব্দটি আরও দ্বিগুণ বেড়েই চলেছিল!

বিছানা থেকে উঠে পরেছিলাম! এরপর দরজার খিলটি আস্তে খুলতে গিয়েছিলাম- খুলতেই দরজার পাল্লাটি বাতাসে এমন জোরে একটা ধাক্কা মেরেছিল তাতে আমার নাক বরাবর এসে লেগে গিয়েছিল! দরজাটি খুলে পরে দেখতে পেয়েছিলাম বাহিরে প্রচুর বাতাস বইছে, ভেবে নিয়েছিলাম এই প্রচণ্ড বাতাসের কারনেই হয়তোবা দরজায় বারবার এই খটখট শব্দটি করেছিল! আমার নাক থেকে টপটপ করে রক্ত ঝরতে ছিল, এরপরেও অনেক কষ্ট করে আবার দরজাটা লাগিয়ে দিয়েছিলাম! ওয়াশ রুমে গিয়ে মাথায় একাএকা পানি ঢেলেছিলাম! একটুপর নাক থেকে রক্ত ঝরা বন্ধ হয়েছিল! তারপর বিছানায় গিয়ে উপর হয়ে শুয়ে পরেছিলাম!

সকাল পেরিয়ে রাত ঘনিয়ে এসেছে কিন্তু এতটা সময়ে সামান্য কিছু পেটে কোন দানাও পরেছিল না৷ শুধু মাত্র সেই যে এক কাপ কফি পান করেছিলাম৷ নাকে আঘাত পাবার যন্ত্রণাটাও বেড়ে গিয়েছিল! পরে কখন যে আবার ঘুমিয়ে পরেছিলাম!
বেশ ভালই ঘুম হয়েছিল আমার, কিন্তু একটানা ঘুমটি আমায় ভোর বেলার সেই মোরগের ডাক গুলি শুনিয়ে দিয়েছিল! এরপর দশ মিনিট পর ফজরের আযানও শুনতে পেয়েছিলাম৷ অতভোরে ঘুম থেকে উঠতে একটু কষ্ট হলেও বিছানাটা ছেড়েছিলাম! সেই সাথে ফজরের নামাযটিও খুব ভালভাবেই আদায় করে নিয়েছিলাম৷ ফজরের সময় শো শো বাতাসের কোনো শব্দ ছিলনা এবং চারিদিকের কুয়াশা গুলিও কেটে গিয়েছিল!

ফজরের নামায শেষ করে রুমে এসেছিলাম, পবিত্র আল-কোরআনের সুরা আর-রাহমান ও সুরা ইয়াছিন একবার করে পাঠ করেছিলাম৷ কিছুক্ষণ পরে আবারও সোজা সেই কফি শপের দিকে রওনা দিয়েছিলাম! সেখানে গিয়ে কফির অর্ডার দিয়েছিলাম না, কারন সারা রাতটি না খেয়ে থাকার চোঁ চোঁ করার কলা কৌশলটা পেটের ভিতর একটু পরপরেই শুরু করতেছিল! এজন্য আগে পরোটার অর্ডারটা দিয়েছিলাম৷

পরোটার সাথে সব্জী তরকারি আমার খুব প্রিয় খাবার, তাই তার সাথে সব্জীও অর্ডার করেছিলাম৷ খুব তারাতারি টেবিলে হাজির হয়েছিল অর্ডারের নাস্তাটা৷ সকালের নাস্তাটা অনেক তৃপ্তি করে খেয়ে নিয়েছিলাম৷ খাওয়া শেষে ছেলেটিকে ডেকে নাস্তার বিলটা শুনে নিয়েছিলাম, পরে পকেট থেকে নাস্তার বিলটা দিয়ে চলে এসেছিলাম রুমের দিকে!

অনেকদিন এই একাকীত্ব প্রহর গুনে চলেছি আমি! সে সময়ে আমার দেহ্ মনটা হুট করেই উত্তেজিত হয়েছিল৷ এক পর্যায়ে ভেবেই নিয়েছিলাম এভাবে আর কতদিন একাএকা থাকা যায়! তার চেয়ে এবার একটু অন্য কোন সামান্য সুখের সন্ধান করি না কেন! তখনই আমি গভীর মনে চিন্তা করে এই দীর্ঘ সময়ের পথটি পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম৷

একটু সুখের আশায় তিনদিন দুই রাত আমার পথেই কেটে গিয়েছিল! তবে কিন্তু ঐ সময়টায় মনের ভিতর যেন একটা একটা বিশাল শান্তির ছোঁয়া অনুভব করেছিলাম৷ অনেকদিন পর যাচ্ছি_ না জানি কতটা সুখ আমার জন্য ডালায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে! অজান্তে মনের ভিতরে আরো কত কি নানান ইত্যাদি মনো ভাবনা করেছিলাম!

গন্তব্য স্থানে পৌছেছিলাম অনেক সুন্দর পরিবেশই৷ পৌছানোর পর সেই সুখটির কাছে আমি কিছু বাস্তবতার প্রশ্নে থমকে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম! আমারও অনেক কিছুতেই অনেক ভুল ছিল- তাহা সহজেই কাহারো গ্রহণ করা কিংবা ক্ষমা করার মতও ছিল না! এরপরেও বিনিময়ে তার নিকট সেই সুত্রে সামান্য ক্ষনিকের কিছু সময়ের জন্য ক্ষমা পেয়েছিলাম!
কিন্তু ভিতরের যন্ত্রণা- সে-তো তাহার এবং আমার বিকল্পিত রূপেই স্পষ্ট থেকে গিয়েছিল!

কেউ কাউকে বোঝাতেও পাচ্ছিলাম না, একটা সময় ভেবেছিলাম আমার সব কিছু ভুলের শৃঙ্খল গুলি হয়তোবা কোনো একটি সুন্দর স্থানে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে! কিন্তু দুঃখের বিষয় ভাবনার সুখ গুলি ধিরেধিরে ঢলেপরে গিয়েছিল! তবুও আমি থেমে থেকেছিলাম না- এবং কোন সময়ের জন্যেও সেভাবে থাকতে চাইছিলাম না! তবে অনেক পরিকল্পিত ভাবে তাহার নিকট থেকে কিছু সুখ আমি ছিনিয়ে নিয়েছিলাম! অনেকে কথায় বলে থাকে- জোর করে কিছু নিতে চাইলেও সেটার মাঝে সুখ স্বাধীনতা পাওয়া সম্ভব হয়না! অনুরুপ আমিও জেনেছিলাম যে_ সেই অল্প সময়ের সুখ গুলি ছিল- শুধুমাত্র ধুলো, এছাড়া বোধহয় অন্য কিছুই ছিলনা! আর যাহাই হোউক্ সেগুলি ধুলো মনে হলেও কিছুটা সুখ সে সময় নিরবে পেয়েছিলাম!

প্রতিটি দিন ও রাত সারাক্ষণ যেন কিছু ভাঙানোর চূরমার শব্দ শুনেই কাটিয়েছিলাম! হঠাৎ করেই আমার উপর দায়িত্বের একটা বোজা এসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল! জীবনটাকে যেন শুকনো ধুলোর মত ভেবে উড়িয়েছিলাম- এরপরেও এই দায়িত্বটিও আমাকেই নিতে হয়েছিল! এবং সেটি যেভাবেই হোউক্ জোড়াতালি দিয়ে সে দায়িত্বের কাজটিও সম্পন্ন করতে পেরেছিলাম!

কয়েক শত মানুষের ভীড়ে শান্তির কিছু ছদ্ম উল্লাসে সবার অজান্তে আবারও ফিরে চলে যাবার সময় ঘনিয়ে এসেছিল আমার- সেই কফি শপের দেশে! এবং ফিরেছিলাম আমি রক্তজবা চোখ দুটো নিয়ে! সাথে নিয়ে এসেছিলাম তাদের কাছ থেকে_ সামান্য পাওয়ার যোগ্যতায় অগণিত অমানবিকতার কিছু অনুতপ্ত- এবং কিছু প্রাপ্যঋৃণ নিয়ে!
কফি শপে গিয়ে ছেলেটিকে ডেকে আবারও অর্ডার করেছিলাম_ "এক কাপ কফি হবে.!!"

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।