ডাইরির পাতা
- অরণ্য- (ভাবুক কবি) ১৭-০৪-২০২৪

কখনও ভাবিনি
তোমার সঙ্গে মাঝ পথে এভাবে দেখা হয়ে যাবে,
হয়তো ভেবেছিলে আমি তোমায় চিনতে পারিনি
তুমি সেই রমণী যাকে প্রতি রাতে স্বপ্নে দেখি‌।
ভাবতেই পারিনি; সত্যি বলছি-
তুমি আমার কল্পনার থেকেও অনেক সুন্দর!

কি সুন্দর করে সেদিন বলেছিলে
আচ্ছা আপনি সেই কবি তাই না?
কেন বলেছিলে সেটা আমি জানতাম।
সেদিন বসে কফি খেতে-খেতে
ওই চোখে দেখেছি অতভূত মায়া!
যেন আমার সামনে ভাসছে একটি নিস্পাপ মুখ।
মায়াবী চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝেছিলাম;
তোমার চোখ অন্য কারো ছবি আঁকেনা
ওই মনের দুয়ারে যে কড়া নাড়ে সেটা হলাম আমি।

আজ চদ্দই ফেব্রয়ারি
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস;
হ্যাপি ভ্যালেনটাইন্স-ডে তরুণিমা;
আই মিস ইউ!

আমি হলাম সেই ঘুড়ি
যে উড়তে উড়তে বৃক্ষের ডালে আটকে যায়!
তাকে কেউ ছাড়ায় না; বৃষ্টিতে ভিজে;
রোদে পুড়ে তবু পাতার ফাঁকে আটকে থাকে।
তুমি কখনো মরুভূমির বুকে পথিক দেখেছ?
তৃষ্ণার তাড়নায় সে চারপাশে দেখে শুধু জল,
অবশেষে জলের কাছে গেলে আর কিছুই মিলেনা!

অনেক মিস করছিলে আমাকে তাই না?
থাকতে না পেরে ছুটে এসেছ আমার খোঁজে!
আমি জানতাম তুমি আসব;
হয়তো তখন আমি আর থাকব না!
না তুমি দেরি করোনি, আমার হাতেই সময় ছিলনা।
জানো এখন আফসোস হচ্ছে
কয়েকটা দিন যদি তোমার সাথে কাটাতে পারতাম!
আমি এমন বলছি বলে অবাক হচ্ছো?
সত্যি বলছি তোমাকে কখনো দূরে সরাতে চাইনি,
তুমি আমার হাজার রাতের স্বপ্ন!
কিন্তু কি করব বল; মায়া বাড়াতে চাইনি-যে!
হ্যাঁ তরুণিমা আমি সেই মানুষদের মধ্যে একজন
যে জানতো তার মৃত্যুর দিনক্ষণ!
আমার ক্যানসার ছিল
জানতাম আর বেশি দিন বাঁচব না,
এ কথা অনেকবার তোমায় চেয়েছি বলতে
কিন্তু বিশ্বাস কর কোথায় যেন আটকে যেতাম-
বারংবার ওই ঝুলে থাকা ঘুড়িটার মত।
হ্যাঁ তরুণিমা আজ ওই ঘুড়িটাকে কে যেন খুলে দিয়েছে!

আজ এই অসময়ে
অনেক দূরে চলে গেছি তোমাকে ছেড়ে,
তোমাকে দেখার পর আমার যে কি ইচ্ছে করতো
তোমাকে ভালোবাসতে! তোমাকে স্পর্শ করতে!
কিন্তু ওই যে অসুখ, তাই আমি সদা দূরে থেকেছি।
তোমাকে না বলে যাওয়াটা অপরাধ মনে হয়েছিল
তাই ডাইরির পাতায় লিখে গেলাম;
এখন আমি সবার থেকে অনেক দূরে!
তবে এতটুকু জেনে রেখ-
আমি যেখানেই থাকিনা কেন;
আই মিস ইউ!


রচনাকালঃ- ১০/০৬/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।