অশনি সংকেত
- অরণ্য- (ভাবুক কবি) ৩০-০৩-২০২৪

ঢলেপড়া রজনীর নিস্তব্ধতায়
জুলুমের দৃশ্য ভেসে ওঠে নয়নজলে!
বিস্তীর্ণ গগন ঢেকে ফেলে কালো মেঘ
শ্রাবণের বারিধারা খুঁজে ফিরে পুরোনো কাশবন,
দিশাহীন মন বিষাদের চাদর মুড়ি দিয়ে
অতৃপ্ত তৃষ্ণায় কাতরায় অদৃশ্য রাতের অন্ধকারে।

দিনের আলোয়,
সব স্বাভাবিক প্রতিচ্ছবি ধারণ করে।
সন্ধ্যা গড়িয়ে আঁধার নামে
অপরিস্কার জলে ভেসে ওঠে নীল শতদল,
গাঢ় এঁদোয় দেখা যায় না পথ
নীরব মৌনতায় বিষাক্ত বায়ু থমকে দাঁড়ায় অস্থির চিত্তে!
অনিষ্ঠের আহ্বানে নিজেকে হারাতে
কারা হেঁটে যায় নীরব গোরস্থানের পাশদিয়ে,
উত্তপ্ত জমিনের বুকে অসহায় বৃক্ষ
দীর্ঘশ্বাস ফেলে চিৎকার করে বলে ওঠে;
পিশাচের দেশে রক্তের খেলা! দুর্নীতির মেলা!
তার প্রাণফাটা রোদনে প্রদোষ সজ্জিত হয়
এক অতভূত অদৃশ্য গোপন রহস্যে।

অক্লান্ত মাছ তীরে মৃত্যুর দিনগুনে জোয়ারের অপেক্ষায়!
নাটকের রঙ্গমঞ্চে নব অভিনেতা ছোবল মারে,
সতর্কবাণীর সাইরেন বাজে চিন্তিত মস্তিস্কে
দূর থেকে ভেসে আসে আওয়াজ-
আগামীতে পৃথিবী সজ্জিত হবে দুর্ভিক্ষের উষ্ণ পবনে!
তবু আশার কিরণ এসে আঘাত করে হৃদে;
আবার মুহূর্তেই স্বপ্ন হয়ে মিশে যায় আঁখির পাতায়।

মেতে ওঠে নিশিথ নগ্ন হরিণীর বাজারে!
দিশাহীন নদী সুর ভুলে পথ খুঁজে,
বিবশ শশী সবকিছু দেখে নিথর দৃষ্টিতে
গোপন রহস্য দেয় ভয়ঙ্কর প্রলয়ের অশনি সংকেত।
ক্ষীণ সুরে বলে ওঠে;
আগামী প্রজন্ম, সাবধান! হুশিয়ার!
হয়তো একদিন দ্রোহের তুফান উঠবে যামিনীর বাগিচায়
সব তচনচ করে যাবে!
আঙিনায় পড়ে রইবে বাস্তবের কিছু নিদর্শন
হয়তো একদিন বিষাদী বাতাস বয়ে যাবে সুদূরে,
আসবে শ্রাবণ প্রখর বর্ষণের পথ ধরে
আবর্জনা ধুয়ে মুছে পুনরয় নব ধরণী গঠন করবে।


রচনাকালঃ- ০৫/০৭/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।