ক্রীতদাসের জীবে দয়া
- আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান ২০-০৪-২০২৪

দাস প্রথা যুগে আরবদেশে কোন এক ধনাট্ট দানবীর আমীর ছিলেন,
আবিসিনিয়া থেকে জাফর নামে কর্মঠ হাবসী গোলাম কিনে নিলেন।
মস্ত বড় দানবীর হিসাবে আরবীয় আমীরের সমাজে যস খ্যাতি ছিল,
মনে প্রানে সে বড় দানবীর চিন্তা চেতনায় গর্বে আত্মহারা বোধ নিল।
ক্রীতদাস জাফর সারাদিন কাজের শেষ মুনিব মাত্র তিনখানা রুটি দিত,
দিন মুজুরির বিনিময়ে সামান্য খাদ্য ক্রীতদাস জাফরের ভাগ্যে জুটিত।
ক্রীতদাসের জীবন নির্মম নিষ্ঠুর মর্মস্পর্শী বেদনাদায়ক সুকঠিন নির্দয়,
মানুষের হাতে হায়রে মানুষ কিভাবে অমানুষিক যন্ত্রনা লাঞ্চনা সয়।
ক্রীসদাস জাফর এভাবে মুনিবের নিত্য কাজ কর্মে মনোযোগ নিল,
ঘরে ফেরার সময় তিনটি রুটি হাতে হেঁটে আনমনে কিযে ভাবছিল।
গৃহ সম্মুখে ক্ষুদা পিড়িত একটি কুকুর শুয়ে বিলাপে ছটপট করিল,
ক্রীতদাস জাফর দয়া সিক্ত মনে তিনটি রুটি ক্ষুদার্থ কুকুরকে দিল।
দানবীর মুনিব মহল থেকে জাফরের অবাক কান্ড প্রান ভরে দেখল,
বিস্ময়ে হতবাগ দানবীর মনিব জাফরের দিকে আচমকা হাজির হল।
কহিল জাফর ওরেও নফর সুদূর আবিসিনিয়ার কেনা হাবসী ক্রীতদাস,
আজিকে দানবীরের দর্প করিলি চুর্ন যেন মোর গলায় দিলি দড়ির ফাঁস।
দিবস শেষে তিনখানা রুটি তাও তুই হেয়ালি ছলে কুকুররে দিলি হাঁসি,
এখন কোথাও যে পাবিনা তুই ক্ষুদা নিবারনে রুটি কোন খাবার বাসি।
চমকিয়ে বান্দা জোড় হাতে বলে মরদ হয়েছি যখন খোদার এই ভবে,
আজিকে নসীবে না হয় রসদ হুজুর কাল পুনরায় অবশ্য হয়ত হবে।
খোদার এ জীবে আহার কে দিবে বলুন মনিব ক্ষুদায় বাঁচাবে কেবা,
মোরা ধরাতে এসেছি করিতে মাখলুক জাহান তামাম জীবের সেবা।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।