কাবিনহীন একটি গোলাপ গাছ
- মাহদী হাসান ২৯-০৩-২০২৪

মন খারাপ থাকলে, আমি মৃতের মতো পড়ে থাকি। তখন অবচেতন মনে, কোনো শব্দই আমাকে নাড়া দেয় না। সেদিন ফেরিওয়ালার ডাকে কেনো যেনো হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়লাম। গোলাপসহ একটা গাছ কিনলাম। কেনো কিনেছিলাম— জানা নেই। তবে ধরা যায়, কাবিনহীন একটি গোলাপ গাছ বড় হয়ে উঠছিলো। শোবার ঘরে জায়গা ছিলো না বলে, পড়ার ঘরেই রেখেছিলাম। শোবার ঘরের চেয়ে, পড়ার ঘরই আমার কাছে পবিত্র বলে মনে হয়। চোখে চোখে রাখতাম। প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতাম। সে দিনগুলোতে স্বর্গীয় বার্তাবাহক না আসলেও, স্বয়ং ঈশ্বর নেমে আসতেন। প্রত্যহ নিয়ম করে যত্ন নিতাম। পানি দিতাম। এ সময়গুলোতে "মোহ" স্পর্শ করতো আরশে মোকাম। মোহের ঘোরে আমি একদিন পানির বদলে মদ ঢেলে দিয়েছিলাম। হঠাৎ করে এমন পরিবর্তন— আসলে কেউই মেনে নিতে পারেনি। না ঈশ্বর, না গোলাপ গাছটি। ঈশ্বর বারবার সুযোগ দিলেও, গোলাপ দেয় না! এজন্যই বোধহয় সুন্দর পাঁপড়িগুলোর নিচে রেখে দেয় সুতীক্ষ্ম তরবারি। পাপিষ্ঠ হলেও— আমি তো মানুষ! আমারও তো মন আছে! ব্যথা তো আমিও পাই!

মন খারাপ। মন খারাপ থাকলে, আমি মৃতের মতো পড়ে থাকি।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।