রাত্রি
- বনমালী - হিজিবিজি ২৫-০৪-২০২৪

উড়িয়ে ধুলো, ভিজে ঘামে ঘুমোবে প্রিয়া বিধাত্রি,
শয্যায় তার ঘুমোলো প্রাণ, কেহ রাত্রির যাত্রী।।

সূর্য নিভে যাওয়ার শেষে কালো আধার এসে,
একলা মনে যায় নিয়ে যায়, দুঃখবিলাসীর দেশে!

স্বপ্ন হারা রাত্রি নিশি হাজার রঙের তারা,
রঙ বোঝেনা মনের মাঝি, মনের মানুষ ছাড়া।

ঘুমের দেশের ঘুমপরিরা দেয় মোরে কোন শাপ,
বুঝাই কিসে তাদের আমি মন জ্বালানোর তাপ!

হাজার হৃদয় পাশে তবুও একলা কেনো পুড়ি আমি,
হাজার রাত্রি সাক্ষী তবুও সে বিচারে আমিই আসামী।

আকাশ কোণে যায় জ্বলে যায় সৌর শুক্র মঞ্জরী,
ধুলামাটির ধুলোমনে কোন বিরহ বাজায় খঞ্জরী?

শুক্ল পক্ষের যৌবনা চাঁদ যায় ঢেলে যায় জোছনা,
কত জনে বাসলো ভালো কারোরই তো সে হলোনা।

ক্ষুদ্র আমি মজি যদি ও সুধা চন্দ্র রূপ রসে,
চাঁদ তো ছাড়ো তুমিই বলবে বামনা আবার চন্দ্র চাষে।

কৃষ্ণপক্ষে কৃষ্ণ তিমির বেড়ে চলে তার চক্রবাক,
ঘুমহারা যত তৃষিত আঁখি ক্ষুধাতুর কানে ঝিঝি'র ডাক।

আঁকাবাঁকা শত পথেরপরে ল্যামপোস্ট দিলো হলুদ গায়,
তন্দ্রা বিধুর একলা পথিক হলদে নীলা দুঃখ বায়।

খুব করে চেনা পথটাও আজ চায় নিতে কোন অজানায়,
দুঃখবিলাসী বন্ধু ভেবে পথের বুকেই বুক মিলাই।

ঈশ্বর দানে পেটের ক্ষুধায় দেখতে হয়নি ক্ষুধার ছল,
তবুও, কোন সে ক্ষুধায় ক্লীষ্ট তনু, নয়ন নেয়ে আঁখিজল?

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।