দাদা আজও কাঁদে
- রূপক বিশ্বাস ২৫-০৪-২০২৪

বৈশাখে বধূ বেসে বিয়ে করে দাদা
প্রথম তোমায় ঘরে নিয়ে আসে,
কত না কান্না করে দুঃখ সহে -
সেদিন পারি দিলে তুমি গিয়ে অন্য শহরে।
বাবার বাড়ির পরিচয় ত্যাগের পরে
নতুন করে স্বামীর দেওয়া পরিচয়ে রাঙালে গিয়ে পরের ঘরে।
ঘরের শোভা ঐ প্রথম তোমায় হতে পাওয়া
অজানা কে জানা,
নিত্যনূতন শেখার অনুভব,
নিত্যনূতন বরন করার অনুভবে জড়ালে তুমি
শাশুড়িদের কাছ হতে শিখলে ওমনি।
লজ্জা, ঘৃণা, ভয় আজ তোমায় হতে নয়
গিণ্নি রূপে তুমি হলে পরিচয়।

বছর দু-এক পরে
গর্ভে এক সন্তান ধরে,
সংসার বাড়ালে নতুন খুঁশির উল্লাসে দাদার ঘরে।
জন্ম দিলে এক কন্যা -
দিশা, কাকাশশুর নাম দিল মন প্রাণে ভালোবাসার উঠানে।
হঠাৎ সপ্তাহ পর দেখা দিল জ্বর!
ছাড়েনা - ছাড়েনা কী করবে ভেবে ডাক্তার ডাকে-
উপদেশ: বড় ডাক্তার নয়তো বা হাসপাতাল।
দিন পরে গাড়ি ধরে রৌনা করলে,
হঠাৎ রামেন্দ সূদন ত্রিবেদী সেতুর ধারে
জ্বালা-জ্বন্তনা করে।
দাদা ভয়ে কষ্ট না সহ্য করে
ভর্তি করে ওই বহরমপুর হাসপাতালে।
বিকেল বেলা 4.15 pm -
এ দেহ ছাড়লে, ছোট্ট দুগ্ধ শিশু ফেলে
ওই বহরমপুর হাসপাতালের তরে
তিন নং ফ্লোর 125 নং ঘরে।

দাদা মোরা একা দিয়ে কষ্ট চাপা
আজও মনে করে,
দু- নয়নে অশ্রু ঝরে
লুকিয়ে-লুকিয়ে ওই ঝোপের ধারে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।