ব্যাচেলর ↓
- ডাঃমোঃ ইয়াছিন আরাফাত ২৮-০৩-২০২৪

আমরা এক অভিশপ্ত মানব
কারন, আমরা যে ব্যাচেলর,
আমাদের কাছে রাতদিন সবই সমান
তাইতো আমরা থাকি ঘুমেতে বিভোর।

আমরা এক অসহায় পথিক
কারন আমরা যে ব্যচেলর হায়,
আমাদের মত ব্যাচেলরদের জায়গা
মেস নামক কুড়ে ঘর ছাড়া অন্য কোথাও নাই।

ব্যাচেলরদের জন্য চাকরী কোথাও নাই
চাকরির জন্য যে ঘুষের টাকাও যে চায়,
আমরা সারাদিন চাকরি নামক সোনার হরিন খুজি
সেই হরিণ খুজতে খুজতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি।

আমাদের পাশে তো মামা খালুর জোর নাই
তাহলে আমাদের চাকরি কেমন করে হয়?
তাইতো দিন শেষে হিসেবের খাতায়
লেখা হয় ব্যাচেলরদের পরাজয়।

মাসের শুরুতে আমরাই রাজা
মাঝামাঝিতে আমরাই প্রজা,
মাসের শেষে আমরাই ফকির
তখন আমরাই করি টাকার জিকির।

মাসের প্রথম থাকে পকেট গরম
মাসের আধা হয় পকেট নরম,
মাসের শেষে পকেট ফাকা
তখন মানিব্যাগের কোনায় খুজি মাত্র একটি টাকা।

আমরা ব্যাচেলর, আমরা যে ব্যাচেলর
ব্যাচেলর লাইফ আমরা বিন্দাস কাটায়,
আমাদের ভালো দেখতে না পেরে
মেস মালিক করে আমাদের ছাটায়।

মেস থেকে বাহির হইয়া
যখন বাসা খুজতে যায়,
সব জায়গায় শুনি শুধু
ব্যাচেলরদের জায়গা নাই।

আবার ডাবলরা যখন বাসা নিতে যায়
তখন মনে হয় তারা বাড়িওয়ালার মেয়ে জামাই,
আর আমরা ব্যাচেলররা যেন কেউ মানুষই নই
তাদের মতে আমরা সবাই রাস্তার টোকাই।

ব্যাচেলর লাইফে আমরা
ব্রেকফাস্ট চিনি না,
লাঞ্চের টাইম কখন হয়
তা তো জানি না।

দুপুরের খাবারে আমরা
চা বিস্কুট খায়,
রাতের খাবারের সময় আমরা
বসে বসে ফ্রী ফেসবুকে চ্যাটিং চালায়।

ব্যচেলরদের থাকার জায়গা
বলতে কিছু নাই,
ছোট্ট কুঁড়ে ঘরের কাঠের চকিতে
রুমমেটের সাথে থাকতে হয়।

আমাদের রাজ্যে আমরাই রাজা
রানির দরকার নাই,
রানি আনতে টাকা লাগে
সেই টাকায় আমরা কোথাই পায়।

মন হারিয়ে আমরা এখন অবুঝ স্বপ্ন দেখি
অর্থহীন রাগ, অসুস্থ হাসিটাকে আমরা বড্ড ভালবাসি,
ব্যচেলর আমরা ব্যাচেলর
এই লাইফে আমাদের কিছু চায় না আর।

উৎসর্গঃ সকল ব্যাচেলরদের

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।