নারী
- শ্রাবণ আহমেদ - বিষাদের দেশে সখ্যতা ২৬-০৪-২০২৪

দেবব্রতের একটা কবিতা পড়ছিলাম
দুঃখ, ক্লেশ যাতনাকে লঘু করে
একজন নারীর কবিতা
তন্দ্রা ক্রমশ ক্ষয়ে তার চোখ জাগে সারারাত
গোপনে নক্ষত্র দেখে
এই পঁচে যাওয়া শতাব্দীতে দিব্য চোখে দেখি
রবীন্দ্রনাথ ও বলছে, 'তোমার জন্ম অনিবার্য ছিলোনা।'

বস্তুত নারীটির রাগমোচন
করবার কেউ নেই, হয়তোবা আনন্দের সঙ্গী ও নেই।
তবুও তার ফেলে আসা দারিদ্র্যের মধ্যে দুর্ভিক্ষের
আগুন এখন নিভে গিয়েছে
অনেক পথ পেরিয়ে তুষারের কাছাকাছি
দাড়িয়ে ভাবছে

মিছিলে মিছিলে ছেঁয়ে যাক শহর
মিছিলে মিছিলে ছেঁয়ে যাক শহর!!

বৃহৎ বৃক্ষের গা বেয়ে উঠা-
একটি লবঙ্গ লতিকা শেষ আশ্রয় পায় বাঁচার
জীবনের তাগিদে বিরক্তি প্রলয়ের মতো
নারীর শীতল চাহনীও অবিশ্বাস্য হয়
অথচ সে ছিলো রূপবতী গুণবতী

নারী কী কেবল 'গৃহদাহ' এর অচলা?
কেবল নেত্র নীল তারকার মতো খসে যাবে?

অর্ধনমিত সূর্যালোকে
সহস্র রঙ মেলেছিলো ডানা
সীমান্তের পর তারপর গোধূলির সিঁদুরে
অঙ্কিত নারীর আঁচল দীর্ঘ অমানিশা টেনে
প্রভাতের আলোতে ফের উজ্জ্বল হলো

বস্তুত নারীটির এই উদ্ভাস
দেখবার কেউ নেই, হয়তোবা আবৃত্তির সঙ্গী ও নেই
তবুও তার ফলাময়ী কণ্ঠে কবিতা ধেয়ে আসে
আনন্দের কবিতা, বেদনার কবিতা
তার ফেলে আসা একাকিত্বের মধ্যে দূর্ভিক্ষের
আগুন নিভে গিয়েছে
অনেক পথ পেরিয়ে ভরা চাঁদের কাছাকাছি
দাড়িয়ে ভাবছে

কবিতায় কবিতায় ছেঁয়ে যাক শহর
কবিতায় কবিতায় ছেঁয়ে যাক শহর!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।