আমার পুজো
- ACHINTYA SARKAR/অচিন্ত্য সরকার[পাষাণভেদী] ২০-০৪-২০২৪

সারা বছরের রুটিন ব্যস্ততার ভীড় ঠেলে কখন বৃষ্টি বিদায়ের পথ ধরে শরৎ রাণী ঈশারা করে,তা প্রায় বুঝতেই পারিনে।তবে শিশির ভেজা ঘাসের বুকে শিউলির ঢলে পড়া,নদী তীরে কাশের হিল্লোল সবই চোখে পড়ে উমা মায়ের আগমন বার্তায় ছুটির মেজাজ শুরু হলে।
আমার মতো হাজার সমস্যা জর্জরিত মধ্যবিত্ত গৃহীর মনও আনন্দ যজ্ঞে যোগ দেবার জন্য আকুলি বিকুলি করে।কিন্তু তার পরেও তো থাকে সাধের গলায় সাধ্যের লাগাম,কঠিন বাস্তবের বাধ্যবাধকতায় মানিয়ে চলার ছলাকলা....তাই সেভাবেই চলা....... কখনও দুধের স্বাদ ঘোলে, কখনও রঙ মেশানো জলে....
সকাল সকাল বাজারে গিয়ে আগুন সেঁকা খাওয়া,সারা দিন মলিন বিছানায় বসে চ্যালেন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বিজ্ঞাপনী মিথ্যের হজমী গেলা ...তার পর সন্ধ্যে হতে সেজে গুঁজে বৌ ছেলে মেয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়া।ভিড়ের সাথে লড়াই করে মায়ের কাছে সহ্য ক্ষমতা চাওয়া আর পচা তেলে ভাজা অমৃত খাওয়া।রাত করে ফিরে, বলা করে ওঠা......

প্রায় একই ভাবে কাটে পুজোর, চারটে দিন।কিছুটা বাড়তি সময় কবিতার হাত ধরে শারদ সংখ্যার পাতায় পাতায়... এই দেখুন না ফুলকো লুচি আর ঘুঘনী এসে পড়ল টেবিলে,একটু থাক আগে নেই গিলে।আঃ,লুচি ঘুঘনী টা দারুণ খেলাম,তবে এন্টাসিড খেতে হবে।ওদিকে ইউরিক এসিডের যতই চোখ রাঙানী থাক,নবমীতে পাঠার চর্বি না চিবোলে ঠিক মান থাকে না,আর দশমীতে সুগার ফ্রীর দাদাগিরি তো আছেই.... এভাবেই আমার পুজো আসে পুজো যায়.......কি বললেন? দু'শো শব্দের বেশি নয়,তবে আর কি,পুজোর শুভেচ্ছা রেখে যাই।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।