পণ আদায়
- ACHINTYA SARKAR/অচিন্ত্য সরকার[পাষাণভেদী] ১৯-০৪-২০২৪

পণ আদায়
অচিন্ত্য সরকার

রমার টোটো চালক বাবা ইট সাপ্লাইকারী জামাই রতনকে সাধ্যমত দিয়েছিল,কিন্তু বিয়ের ছ'মাস পর থেকে দাবী বাড়তে থাকে।এক দু'বার টাকা দেবার পর রমার বাবা তার অপারকতার কথা সাফ জানিয়ে দেয়।
রমার বোন সীমার সেবার ক্লাস এইট।একদিন টিফিনে,স্কুলে গিয়ে রতন সীমা কে নিয়ে আসে।হাওড়া স্টেশনে দু'জন লোককে বন্ধু বলে পরিচয় করায়।কিছুক্ষণ পর,টিকিট কাটতে যাবার নাম করে সীমাকে তাদের কাছে রেখে রতন সরে পড়ে। রাতে টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরে রমাকে বলে,সারা দিন পার্টির বাড়িতে ঘুরে ঘুরে মোটা অঙ্কের পাওনা টাকা আদায় করেছে, এখন আর কারো সাহায্য চায় না সে।মুড ভালো আছে দেখে,রমা বলে,"জান,বাবা এসেছিন,সীমা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরেনি।"রতন বলে,"ভালোই হলো তোমার বাবার আর পন দিতে হবেনা।"
পরদিন সীমার বন্ধুদের কাছ থেকে জানা যায়,সীমা ব্যাগ নিয়ে ক্লাস থেকে যাবার সময় বলেছিল,তার দিদির অসুখ, তাই জামাই বাবু নিতে এসেছে।রমা একথা বলতেই রতন খুব রেগে গিয়ে রমার মুখে এসিড ছুঁড়ে মারে।তার পর টাকার ব্যাগটা নিয়ে পালানোর আগে বলে,"বেশ করেছি,আমার নায্য পাওনা..আদায় করেছি......"
বোনের খোঁজে গিয়ে বাবাও ফেরেনি,পোড়া মুখে বাবার টোটো চালিয়ে অসুস্থ মাকে দেখছে রমা......

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।