ইবলিসের খোঁজ
- শেখ রবজেল হোসেন ১৮-০৪-২০২৪

খুব সকালে ঘুম থেকে জেগে দ্রুত বেরিয়ে পড়েছি আজ,
শুনছি ইবলিস এসেছে পৃথিবীতে ধরে মানুষের সাজ।
রসু মিয়ার হোটেলে খেলাম রুটি আর মুরগীর গোস্ত,
খেতে বসে তরকারিতে পেলাম একটা মরা টিকটিকি আস্ত।
তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে সিটিং সার্ভিসে বাদুড় ঝোলা ঝুলছি,
কিছু দুর গিয়ে গাড়ীটা থামলো, কেনো?সে কথাই বলছি।
ট্রাফিকের সিগন্যাল মাসিক চাঁদা দিতে হবে নইলে রক্ষা নাই,
সকাল দশটা বেজে গেলো এ কারনে আসতে অর্ধেক রাস্তায়।
হঠাৎ দেখি রাস্তায় মিছিল, নানা রঙের প্ল্যাকার্ড হাতে;
শিক্ষক করেছে যৌন হয়রানি তার ছাত্রীর সাথে।
সীটে বসেই খবরের কাগজ কিনে চোখ বুলাই বারে বার,
দেখি দুদক অফিসার গড়েছে অবৈধ কোটি টাকার পাহাড়।
পুলিশেও করে ধর্ষণ এদেশে, বিচার কোথায় পাবো?
বিচারক যদি পরকীয়ায় মাতে বিচার কারে দেবো?
নকল সার্টিফিকেটে ডাক্তার অফিসার, নকল ঔষধে ভরা দেশ,
শেয়ালের রক্ত মাখিয়ে মরা গরু বেচে কসাইও চলছে বেশ।
হোটেলে খাওয়ায় মরা মুরগী আর শেয়াল কুকুরের গোস্ত,
প্রশাসন সহ নামী দামী লোক ঘুষ খাওয়ায় সব ব্যস্ত।
রাস্তা তৈরীতে সিমেন্টের বদলে বালি দিয়ে সারে ঠিকাদার,
সরকারি ভবন আর ব্রীজেও রডের বদলে এখন বাঁশের কারবার।
পাঁচ হাজার নয়শো সাতান্ন টাকা রূপপুরে বালিশের দাম,
এমন বালিশ কিনেছে সরকার চারিদিকে যার এতো সুনাম।
মাদ্রাসার হুজুর আর মসজিদের ঈমাম ধর্ষণে দিয়েছে পাল্লা,
তাবলীগ জামাতের দু'পক্ষ লড়ে ভাগাভাগি নিয়ে হায় আল্লাহ!
ধর্মের পথে ধোঁকাবাজি করে ভাঙে মানুষের মনোবল,
ধর্মের নামে চাঁদা তুলে খায় কিছু মোনাফেকের দল।
মিছিলটা চলে গেলো আমাদের গাড়ীর দুইপাশ দিয়ে,
জানালা দিয়ে মোবাইলটা কার ছোঁ মেরে গেলো নিয়ে।
এবারতো মোদের বোঝাই গাড়ীটা ছেড়ে যাবারই পালা,
কোথা থেকে এসে হায়েনার দল বলে গাড়ীটাতে আগুন জ্বালা।
দাউ দাউ জ্বলে গাড়ীটা মোদের বাঁচাতে কেহ না আসে,
ইবলিশ মনে হয় এখানেই আছে, দেখছে সবই দুরে বসে।
সেলফি তোলা আর ভীড়ের কারনে পালাবার পথ নাহি পায়,
ইবলিশ আমার চারপাশেই ছিলো নানা রূপের ভঙিমায়।
ইবলিসের দেখা সবখানেই পাই আর খুঁজবোনা ভাই ,
মানুষের মাঝেই ইবলিসের মুখ এ সমাজে দেখতে পাই।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।