ঝরণা
- রফিকুল আলম - ভালোবাসার নিঃশব্দ কথন ২০-০৪-২০২৪

ঝরণা, তুমি আমার মরু হৃদয়ের ঝরণা
উদ্ভিন্ন যৌবনের বৈতরণীতে এসে
নোঙর করেছিলে আমার হৃদয় বন্দরে
তুমি ঝরণা, ওগো অনন্যা।
সিঁদুর পরাতে চেয়েছিলাম
বাঁধ মাননি বাঁধন হারা হয়ে
মনের দেউল গুঁড়িয়ে
ত্যাগ করেছিলে আমার বন্দর
আরো বড় বন্দরে যাবে বলে।
আমিও বেড়িয়েছি অনেক বেনামা বন্দরে বন্দরে
দেখেছি কত রসবতী
যার বক্ষ জড়িয়ে রয়েছে সুঠাম নাবিক
কিন্তু তোমার দেখা পাইনি
তুমি আমার ঝরণা
মরু হৃদয়ের ঝরণা এক অনন্যা।
নিদাঘ বর্ষা বসন্তে আমার ঢেউ কমেনি
বহে বেড়াচ্ছি বেদনা ভরা তরণী দুরাশায়
যদি কোন দিন দেখা হয় দুজনের
নাম না জানা কোন মোহনায়।
পাবনার কাছাকাছি কোন গ্রামে
গতি থেমে গেলো
চমকিত চোখে দেখি অকাল পৌঢ়া
আমার মরু হৃদয়ের সেই ঝরণা।
কঠিণ বাস্তবতায় যৌবনে ধরেছে ভাঙন
ক্ষীণ কলেবরে এখন জলাভূমি
উরস যেন রসশূন্য।
একটু খানি হিন্দোলিত হয়ে বুঝালো
বড় কষ্টে আছি, নির্মম নীরবতায়
তোমাকে ফেলে এসে বারবার মনে পড়ে
নজরুলের ’অভিশাপ’ কবিতাখানি।
আমার উরসে এখন থাকে মাঝি
যার হাল খুব দুর্বল
তখন তোমাকে ভেবে বেদনায় আনন্দ পা্য়
শুধু ইচ্ছে করে বাঁচতে
ওগো আমার হৃদয়ের নাবিক।
ভুলে গেলাম ব্যথা, ভেঙে গেলো বেদনার তরী
ঝরণা, শুধু তোমার প্রয়োজনে
কত নিদাঘ বসন্তে শুকাতে দিইনি আমার জল
আবার পূর্ণ করবো তোমার শূন্য উরস
যৌবনের গতি ফিরাবো অঙ্গে তোমার
পরাবো আমার তেজশ্রী সিঁদুর
তুমি যে আমার মরু হৃদয়ের ঝরণা
শুধু আমারই ওগো অনন্যা।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।