তেমনই তোমাকে চাই
- শেখ রবজেল হোসেন ২৪-০৪-২০২৪

কেনো এমন হয় বলতে পারো?
আগে কখনোই এমনটা ভাবিনি।
নিজেকে খেয়াল করার সময়ই হতো না।
যেদিন বললে, খালি গায়ে তোমাকে কুড়ি বছরের যুবকের মতো দেখায়;
সেদিন থেকে আমার বয়সটাও কুড়িতে নামিয়ে আনার চেষ্টায় আছি।
আয়নায় দাঁড়িয়ে পাকা চুলগুলো এখন ছিঁড়তে ইচ্ছে করে,
ইচ্ছে করে প্রতিদিন ক্লিন শেভ করে সাদা দাড়িগুলো লুকিয়ে রাখি।
যেদিন বললে, তোমার ঠোঁটটা অনেক সুন্দর দেখায়;
সেদিন থেকে এই ঠোঁটে আর কারও চুমু দেয়ার অধিকার দিইনি।
মাঝে মাঝে নিজেই নিজের বয়সটা হারিয়ে ফেলি,
তখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোমাকে নিয়ে ফুসকা খেতে ইচ্ছে করে।
নদীর পাড়ে পাথরের বাঁধ দেখলেই তোমার কথা ভীষণ মনে পড়ে,
তুমি আর আমি শীতের দুপুরে মিষ্টি রোদে মুখোমুখি বসেছিলাম দু'টো পাথরের উপর।
রৌদ্রে দু'জনের মুখমন্ডল পুড়ে কালো হয়ে যাচ্ছিলো,
তুমি চিনা বাদাম ছড়িয়ে মাঝে মাঝে আমার হাতে দিচ্ছিলে।
আমি শুধু তোমাকেই দেখছিলাম সবকিছু ভুলে গিয়ে,
তোমার প্রতিটি কথায় ছেড়ে দেয়া শ্বাসটুকু শুষে নিচ্ছিলাম আমার ঠোঁটে।
তার স্বাদটুকু ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম তোমার ওই হরিণী চোখে,
তোমার সুন্দর হাতটা চেপে ধরে কখনও কখনও তোমাকে থামিয়েছি,
বলেছি,তুমিও একটু খাও;
আমি চেয়ে চেয়ে দেখি ওই ঠোঁটের কম্পন।
তোমার ও চোখের পাতা বুঁজলে তোমাকে দেখতে কেমন লাগে,
সেটা উপভোগ করার জন্য আমার চোখের পলক পড়েনি সহসা।
কড়া রোদে দৃষ্টি বেশ ঝাপসা হয়ে আসছিলো,
তুমি বললে, রোদে কষ্ট হচ্ছে না তোমার?
আমারতো সে খেয়ালই ছিলো না,
তোমাকে দেখছি তো দেখছিই।
ভুলে গেছি ফেরার পথ,
হঠাৎ তুমি আমার ধ্যান ভাঙালে।
বললে, চলো আজ আর নয় ;
অনেক সময় রয়েছি আজ বাইরে।
আমি বললাম,চলো অন্য কোথাও যাই আমরা ;
দুপুরের খাওয়া সেরে নিই।
ক্ষিধের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম, তুমি না বললে।
ইচ্ছে হচ্ছিলো অবাধ্য ক্ষুধা আরও বেশী করে ক্ষুধার্ত হোক,
চোখের ক্ষিধেটাও বাড়ুক আজ আরও একটু বেশী।
তারপর ক্ষুধাতুর ঠোঁটে গোগ্রাসে গিলবো তোমার ঠোঁটে জমে থাকা ঘামের ফোঁটা।
আমি এখনও প্রতিটি মুহুর্ত অপেক্ষায় থাকি তোমাকে তেমনই ফিরে পেতে,
আবারও ভালবাসার ক্ষুধা মেটাতে চাই কড়া রোদে তোমাকে পেতে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।