সংস্কৃতি
- মোহাম্মদ ইরফান ২০-০৪-২০২৪

ঝির্-ঝির্-ঝির্ পাতার ধ্বনি,ঝিঁঝি করে গান
নীল থেকে ধীর্ ঝাপসা হয়ে এল-রে আসমান
রোদ মুদিল,চাঁদ উদিল,বুড়ো যখন রাত
করিম মাঝি খোদার ধারে জুড়ায় মুনাজাত
রহম কর,রহম কর,আল্লা-নবি-অলি
বুকের কোনে দুখের পরশ,আপোষে যাক্ চলি
আবেগে আর বাঁধ মানে না,চোখের জলে বান
পথহারা তাঁর পুত্র যেন,সুপথ ফিরে পান
এই কত আর বয়স ছেলের,উনিশ কিবা কুড়ি
রূপ,গুণে এই আট গ্রামের কেউ না ছিল জুড়ি
যখন ছিল মাটির কোলে মাতিয়ে রাখত প্রাণ
কি সুমধুর কন্ঠ,আহা! গাইতে দেশের গান
দস্যি ছেলের দস্যি রাজা,মায়ের আঁচল তটে
সপ্তরাজার হিরে অধিক মূল্য যে তার,বটে
মাঝির ছেলে মানিকও ঠিক মাতিয়েছিল গাঁ
খেই হারাল গ্রাম ছেড়ে যেই,দেয় শহরে পা
প্রথম প্রথম বাঁধ সাধিত,গ্রামীণ ভাষা ক্ষ্যাৎ
এই ভাষা কি বলার মতো? ধ্যাৎতেরি,ধ্যাৎ,ধ্যাৎ
"মাঝির ছেলে",কি অপমান! লজ্জা,মরি,মরি
বাংলা গানে কি আছে রে,ক্যামনে যে তা করি?
গ্রাম ছায়াতে,ঘর মায়াতে জং ধরেছে অতি
পরগাছা তার ভাবটা তবু কোমল পদ্মাবতী
বদ্ধঘরে পোষ মেনেছে কোন সে ভবের কীট
শেকড়ে যে কুড়াল চালায়,গোঁফে মারে গিঁঠ
ধুলো-মাটির পথ ভাল না,চাঁদ কদাকার গাঁয়ে
মাটির আঁচড় লাগলে পরে সোনায় মোড়া পায়ে!
পথ ভুলেছে,গ্রাম ভুলেছে,ভুলেছে তার আদি
রহিম মাঝি খোদার ধারে বলছে কাঁদি,কাঁদি
দাও ফিরে বা না দাও তারে,আরজি তব ধারে
বাংলাদেশের সংস্কৃতিতেই অটুট রেখো তারে
মায়ের ভাষা,ভালবাসা,দেশের প্রতি টান
সজাগ রেখো,হে দয়াময়,চিরদিন অম্লান।।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।