কল্পনার অন্তরীক্ষ
- শেখ রবজেল হোসেন ২৮-০৩-২০২৪

অনামিকা কতদিন হলো তোমাকে ছুঁয়ে দেখিনি আমি,
কাঁধের তিলটা কি ওখানেই আছে এখনও?
তোমাকে স্পর্শ করার কতো বাহানা খুঁজতাম তখন,
মনে হতো তুমি পরিবর্তিত হও প্রতিনিয়ত।
কতদিন কাঁধের উপর তিলটায় আমার ভারী নিঃশ্বাসের স্পর্শ পাওনি বলোতো?
তখন কি তোমার খুব খারাপ লাগতো?
নাকি আমার স্পর্শের অপেক্ষায় থাকতে সারাক্ষণ?
আমার নিঃশ্বাসের স্পর্শে তোমার সমস্ত শরীর শিহরিত হতো,
বিদ্যুৎ তরঙ্গ চুরমার করে দিতো আমার আলিঙ্গনের প্রাচীর।
অনেক কষ্ট হতো সংবরণ করতে,
তবুও সুখে ভরে যেতো মূহুর্ত;সুখে ভাসতাম আমি।
নিঃশব্দে তোমার আত্মসমর্পণ আমার অলিন্দে,
খোলাচুলে ঢেউ খেলে যেতো কামনার সব মুহূর্ত।
আমি সারাক্ষণ তোমার শিহরণ অবলোকন করেছি প্রতিটি পশমে,
সুখ কাঁটা হয়ে ওগুলো অনবরত হানতো এ পোড়া চোখে।
সময়ের পরিক্রমা বিচ্ছেদের পর্দায় ঢেকে দিয়েছে সব,
আজ আর তিল খোঁজার বাহানায় তোমাকে ছোঁয়া হয়না।
আমার কম্পিত হাতের উপর তোমার হাতটা রেখে বাধা দাও না,
আর কখনও কোনদিন আমার হাতটা সরিয়ে দেবে নাকি কাছে টেনে নেবে তাও জানিনা।
এখনও আমার হাতটা কেঁপে ওঠে অসময়ে বারবার,
মনে হয় এই বুঝি চেপে ধরলে ভালবাসার শাসনে হাতটা আমার।
তুমি কি শিহরিত হও এখন আমাকে ভেবে আমার অবর্তমানেও?
আমি কল্পনায় তোমার কাঁধ ছুঁয়ে দিই প্রতিটি রাতে।
এ যেনো এখনও আমার সেই আগের ভালোবাসার দিনপঞ্জির ছক,
তোমাকে না ছোঁয়া অবধি পোড়া চোখে ঘুমেরা বাসা বাঁধে না।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।