আমি কেন এতোটা বিষন্ন হয়ে উঠি
- শ্রাবণ আহমেদ - বিষাদের দেশে সখ্যতা ২৯-০৩-২০২৪

অরণ্যকে ভেদ করে খোলা প্রান্তে
মরুর কাছাকাছি প্রায়
আশ্রয় নিয়েছিলাম
আমি কেন এতোটা বিষন্ন হয়ে উঠি
বিবর্তন ফেলে অস্তিত্বহীন আজকের কবিতা
কেন ফের লিখা হলো কাগজে

শহর নগর গ্রাম যখন নিদ্রায় নিমগ্ন
গভীর গগনে এতো তারা দ্যুতি খেলে
দাঁড়িয়ে থাকে মূর্তির শরীর
বোবা-উল্কি সেও কেঁদে ওঠে ত্বকের গভীরে
নিজের লাশ নিজের কাঁধে বহন করে
সামনে অগ্রভাগ হচ্ছি প্রতিনিয়ত
কী প্রচন্ড ভার-অসহ্য ভার!
অথচ পুণ্যবতী একটা মুখ দেখবার
বদলে আমিও নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা করতে পারি!

স্বপ্নের মাঝে নুয়ে পড়া তালগাছের কথা
এখনো মনে পড়ে
আমি একটা হলদে ফতুয়া দেহে দাড়িয়ে ছিলেম
উত্তরা বাষ্প বইছিলো ধীরে ধীরে
নিজে থেকে এগিয়ে আসা এক
খনি-শ্রমিক ভগবানের রুপে কাছে
আসলো, দৃশ্যত ডানপন্থী আমি নই
অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ
শেষতক কিছুই বলেনি সে
কেবল খামে ভরে সে রেখে গেছে তার চোখ
বলেছে, দৃষ্টিসীমায় দিগন্ত নেই কোনো,
তুমি অরণ্য হও, অরণ্যে চলে যাও!
আমি বামপন্থীর মতো উপেক্ষা করলাম
অরণ্যকে ফেলে এর ও কিছু দূরে
মরুর কাছাকাছি প্রায় আশ্রয় নিয়েছিলাম!!

২৫ অক্টোবর/১৯

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।