মধুচন্দ্রিমা
- উদয় ভানু চক্রবর্তী ২৯-০৩-২০২৪

হলুদ ধানের শীষের ওপরে লাল নীল সবুজ রঙ, আর শিশিরের আলতো ছোঁয়া,
পূর্বরাগের আলো আঁধারিতে-
পৃথিবীতে এলো সে।

পশ্চিমের জানালা খুলে কাগজি লেবুর গাছটার পাশে একটা নরম সোনালী রোদ্দুর-
টক টক গন্ধটা ছড়িয়ে চারপাশে;
অসমাপ্ত ভোরের পাখির গান আর
অনেক আশা হাতে,
হাসেম চাচা পায়ে পায়ে শস্য ক্ষেতে লাঙ্গল কাঁধে,
আলপথ ধরে নূপুরের কিঙ্কিণীতে সে কিশোরী হলো।

একটু একটু করে রাঙ্গা হলো চারদিক,
তারপর- কৃষ্ণচূড়ার বন্যায় ভেসে গেল মাঠঘাট, নগর, প্রান্তর;
এঁকে বেঁকে এগিয়ে চলা নদীটার চেনা অচেনা,
বাঁকে থমকে দাঁড়ানোর পরে-
ফ্রক ছেড়ে সে এবার শাড়ী ধরে।

আলোড়ন তোলা ঢেউ আছড়ে পড়ে
বেলাভূমির বুকে যখন,
চুয়ে পড়া জোছনা ধীরে ধীরে নেমে আসে-
রূপোর সাজ সারা উঠোনে, পাড়া জুড়ানো
হাওয়া ধেয়ে আসে কোন অন্তরীক্ষ থেকে।

যখন জরীর পাড়ে যুবতী সেজে সে এলো কাছে, জাফরানী রাতে, আমার আকাশে-
কোনো কালো ছিল না, আঁধার ছিলনা কোথাও।

শুধু ছিল অমরাবতীর বয়ে চলা আর চন্দ্রকণাদের কুয়াশার ওপারে উত্তোরন, পারাবারের মধুচন্দ্রিমা।
তোমার কপালে লেখা কলঙ্কটুকু নিয়ে,
বুড়ি চাঁদটা হেসে দূরে হারিয়ে গেল তখন।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।