খোকার মা
- ACHINTYA SARKAR/অচিন্ত্য সরকার[পাষাণভেদী] ২০-০৪-২০২৪

খোকার মা
অচিন্ত্য সরকার

করোনার আতঙ্কে যখন বন্দি ঘর,
হঠাৎ ছেলের হলো সর্দিকাশি জ্বর।
হার্টবিট বেড়ে গেল মাথা গেল ঘুরে
বিদ্যে বুদ্ধি যা ছিল সব গেল দূরে।

চারিদিকে লকডাউন কোথায় যাই
মাথাটা হ্যাঙ করল উপায় না পাই।
ডাক্তার কে ফোন করে ছেলের মা
রিং তো হয়েই যায়,উত্তর মেলে না।

এভাবেই বেজে গেল রাত্তির দশটা
বেরিয়ে পড়লাম,মুখে নিয়ে মাস্কটা।
ওষুধের দোকানে আধখোলা সাটার
বললাম,ওষুধ চাই জ্বর যে ব্যাটার।

ড্যাব ড্যাব চেয়ে বলে,দূরে দাঁড়ান,
জ্বর যদি বেশি হয় হাসপাতালে যান।
বললাম রাস্তায় টোটো অটো নেই
জ্বর টুকু কমানোর,ওষুধ কি নেই?

থাকবে না কেন,জানেন তো সময়,
রোগের যা হালচাল পেয়ে যাই ভয়।
তারপর দিলো দুটো প্যারাছিটামল
সব ঠিক থাকলে,পাবেন এতে ফল।

ছোঁয়া ছুঁয়ি না করাটা হলো না মানা
জ্বর যে খোকার,কারে করবো মানা!
পরদিন সকালে জ্বর গেলো খোকার
ডাক্তার দেখে বলেন,ভয় নেই আর।

তার পর বুড়ি মায়ের হলো একটু কাশি
বউ বলে,এভাবে থাকা যায় পাশাপাশি!
একঘরে পাঠায় তারে ছোঁয়াছুঁয়ি বারণ
জানি আমি ছিল না,তার কোনো কারণ।

ভাবি আমি খোকার মা ভুলে কেন যায়,
আমিও খোকা ছিলাম,পেলেছিলো মায়।
সেও তো শ্বাশুড়ি হবে,খোকা হবে বর,
নীরব থাকবে খোকা,শান্ত রাখতে ঘর।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

Refat
২৬-০৩-২০২০ ১০:৪৬ মিঃ