মানুষত্বহীন হোমো স্যাপিয়েন্স
- বায়েজীদ হোসেন বাদশা ২৪-০৪-২০২৪

নগ্ন সভ্যতার গর্ভে জন্মানো ওরা জানে-
বাইবেল, গীতাতে লুকানো তত্বের কথা,
গীর্জায়, মন্দিরে পাবে প্রশান্তির আশ্বস্ততা।
তবু প্রার্থনা ছেড়ে, ঈশ্বর ভুলে ওরা আনে-
সংঘাত আর প্রজনন-যন্ত্রের বহুগামিতা,
অ্যাকুয়াস হিউমারে বিকট দানবীয় হিংস্রতা!
ওরা যে বলে সাম্য চাই, সংঘাতে শান্তি চাই;
ধর্ষণ রুখে চিৎকার দিয়ে উঠে ওপাশে-
বিদঘুটে অন্ধকারে খুবলে খায় পবিত্র যৌনাঙ্গ;
দেবীর বুকে বসে নারীত্ব-চোষা ওরা কারা?
ওরা ওই গলিতে খোঁজে হাড়- মাংস,
উত্তাল সমুদ্র রাতে শুষে নেয় তাজা রক্ত;
শকুনের মতো ছিঁড়ে-ছিঁটে খায় নারীদেহ।
একের পর এক খুন..একের পর এক ধর্ষণ..
এরা কোন শ্রেনীর মানুষ?- এদেরও ধর্ম আছে,
রক্তাক্ত নাড়ির খামচা কাটা বড়াইও আছে;
শুধু নেই যে জীবনবোধ! নেই মানুষ্যত্ব!
এদের শরীরে কি তবে নরপশুর নষ্ট রক্ত?
ওদের শরীরে যে বয় ওদেরই মায়ের রক্ত।
ওরা মাকে দেবী বলে মানে, বাবাকে দেবতা!
এ ডাক শুনে ধ্বসে যায় বোধের জগত...
আর অবাক বিস্ময়ে ডুবে আমি ভাবি-
মানুষের গর্ভে কিভাবে জন্ম নেয় এমন কুকুর!
তবে কি মায়ের সাথে ছিল কুকুরের সহবাস?
নাকি এসব কুকুরের সাথে ভাস্কর্যের সহবাস?
নির্দোষ মা তো নয় পাপী, রক্ত নয় অপবিত্র।
পাপী হোক তবে হিমঘরে লুকানো জীবনবোধ;
যে বোধের কফিনে প্রতিনিত্য জন্ম নেয়-
সংঘাত, যৌনতাচর্চা, লালসা, মানুষ হত্যা!
পাপী হোক তবে সেই লক্ষ-কোটি শুক্রাণু ;
যার ভেতরে ঘুমিয়ে ছিল মানুষের বেশে-
এমনই কালোমনা কুকুর, এমনই হিংস্র পশু!
পাপী তবে সেই জন্মলগ্নের আঁতুড় ঘর;
যেখানে উজ্জ্বল স্বপ্নে জন্ম নিয়েছিলো-
দু'শো টাকায় বিক্রিত দেহ, চরম বেশ্যাবৃত্তি!
.
~ বায়েজীদ হোসেন

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।