প্রতিবাদ
- আবুল হাসান জাহাঙ্গীর ২৮-০৩-২০২৪

এসো হে বান্ধব পথে নেমে পর
বাহুতে লাঠি নিয়ে মুখে প্রতিবাদের সুর ধর।
এত অন্যায়, অনাচার কেন হবে?
এতো শুধু ধনীর ধরনী নহে!
বৃক্ষের নিচে থাকবে মোরা
তারা থাকবে অট্টালিকার পড়ে
আজকে এর করব বিহিত
এ অবিচার সইবনা আর মুখ বুঝে।
দিয়েছি তোমাদের হাতে ক্ষমতার অসি
তাই বলে বক্ষের উপর চড়ি
করবে অন্যায়ভাবে শাসন
হবেনা আর হবেনা
উড়িয়ে দেব গুড়িয়ে দেব
তোমাদের ঐ রাজসিংহাসন ।
ঠাঁই নাই কেন মোদের এতটুকু ঠাঁই নাই?
তোমাদের হৃদয় মাঝে
বার বার কেন অবহেলিত হচ্ছিল মোরা
সমাজের সকল কাজে ?
বিলাশ বহুতলে যখন অতিবাহিত করছ
তোমাদের জীবন
অনাহারে, দুঃসহ দহনের তীব্র জ্বালায়
আমরা তখন ডাকছি বসে এসো ভাই মরন।
কেন হবে এমন দিতে হবে জবাব
নইলে আজ বানিয়ে ছাড়ব কাবাব।
যখন আসে তোমাদের সামনে
ভোটের নির্বাচন
আমরা হই হিরা মতি
তোমাদের মাথায় যেন
আমাদের সিংহাসন ।
মোরা সহজ সরল কমলমতি
ভোট দিয়ে করি নির্বাচিত
পেয়েই আসন ওরে কুজন
মোদের নামে ভিক্ষা এনে
মোদেরই করে বঞ্চিত ।
ছাড় বলছি ভাঁওতা বাজি ছাড়
নইলে খাবি আম জনতার
কিল ঘুষি চিমনির পাড়।
প্রভাকরের তীব্র দহনে
অঙ্গ মোদের ঘামে দরদর
জলাধারের প্রচন্ড বর্ষনে
তনু কঁপে থরথর।
মাথায় নিয়ে ঝড় ঝঞ্জা
উপেক্ষা করে সহস্র প্রতিকূলতা
তোমাদের মুখে অন্ন জোগাবে
এই তো বাঞ্চা।
আরে ঐ কৃতজ্ঞ বাচ্চা শুয়োরেরা
মোদের ডাকি অভদ্র ছোটলোক
ইতর গ্রাম্যভূত দুঃখেফেটে যায় বুক
বাঁধ মানেনা আর আঁখি
অক্ষির জলে ভাসি
মোদের নাকি বিশ্রী চেহারা ।
তবে ঐ দন্ডধরের চেলা
ঘাড় ফিরিয়ে দেখ
খেলব এবার অস্ত্র অস্ত্র খেলা
কামারের হাতে হাতুড়ি
বন্ধ করব তোদের ব্যঙ্গ চাতুরি
শ্রমিকের হাতে শাবল
প্রতিশোধের পালা হবে ডাবল
কৃষকের হাতে কাস্তে
একটাও হবেনা আস্তে
জেলের হাতে জাল
সাম্যের বাতাস বহাব মোরা
অসাম্যের তরীতে দেব পাল।
কুমারের হাতে হাড়ি
মাথায় মাড়ির বাড়ি
তল্লাট ছাড়িয়ে সমুদ্র দেয়াব পাড়ি।
এখনো বলছি সোজা হও
আমাদেরকে মানুষ বলে মেনে নাও
লাঞ্ছিত বঞ্চিত শোষিত অবহেলিত
জনতার কাছে ক্ষমা চাও
শপথ নাও কখনো করবেনা
রিলিফ চুরি এ অন্যায় অবিচার
আমরাও মানুষ দিতে হবে অধিকার ।





মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।