অনামিকা তুমি এসো
- শেখ রবজেল হোসেন ২৯-০৩-২০২৪

অনামিকা,
প্রতিনিয়ত নিদ্রাহীন আমার এ দুচোখে অসহ্য যন্ত্রনার মেঘ ভাসে,
তখনই মাঝরাতে আমি খুঁজি তোমার শীতল পরশ।
তুমি চুম্বন এঁকে দেবে ঘুম জাগানিয়া পলকহীন আমার দুচোখে,
নিঃশ্বাস তোমার ভারী হয়ে আছড়ে পড়বে অবিরত আমার সিনায় কেশরাশি কাঁপিয়ে।
তোমার শীতল সরু আঙুলের শিহরণ ছোঁবে সারা শরীর,
সজারু কাঁটার মতো শক্ত হয়ে উঠবে সব পশমগুলো।
তখন তুমি চোখ তুলে বলে দেবে সবকিছু ইশারায়,
তোমার বুকে জমে থাকা হাজারো না বলা কথামালা।
তোমার আলিঙ্গনে মিশে যাবে পদ্মা মেঘনা যমুনা,
ঢেউয়ের নীরব আত্মসমর্পন হবে হৃদয়ের মাঝে।
ভালবাসার উষ্ণ পরশ তোমার শীতলতায় ভরে,
মিশে যাবে নাতিশীতোষ্ণ সাগরের বিশাল তটে।
অনামিকা, তুমি শাশ্বত পৌষের আদুরে শীত হয়ে এসো,
মমতায় জড়িয়ে রেখো আমায় সারাক্ষণ তোমার বাহুডোরে।
মাঝরাতের কোন এক সময় গৃহে প্রবেশ করে,
তোমার হিম হয়ে যাওয়া হাতের তালুদুটো আমার উষ্ণ দু'গালে ছুঁইয়ে দিও।
আমি লেপ মুড়ি দিয়ে তোমাকে সিনায় জড়িয়ে নিয়ে শীতল হবো এই হাড় কাঁপানো শীতের রাতে।
আমার ঘামে ভেজা কপালটা তোমার বুকের মাঝে নিও,
দুহাতে মুছে দিও তোমার ছাপা শাড়ীর আঁচলে।
অনামিকা জানি তুমি আসবেই আমার এ নিঃসঙ্গতায়,
নিঃশব্দে ক্ষয়ে যাওয়া বুক পাঁজরের শেফা হয়ে।
তুমি ছাড়া কোন বর্ষনই ভেজাতে পারেনা আমায়,
কখনোই ঘুচবেনা আমার অসহ্য দূর্বিনীত নিদ্রাহীনতা।
কষ্টের তীব্রতা বাস্প হয়ে জমে ওঠে বুকের চাতালে,
ফের টুপ করে ঝরে পড়ে প্রতিরাতে অনাবৃত শুষ্ক রুক্ষ ললাটে।
কুয়াশার ধোঁয়ায় কুন্ডলী ওঠে আমার ওষ্ঠে,
আমি জ্বলেপুড়ে যাই বিরহের আগুনে।
অনামিকা,তুমি বর্ষা নিয়ে এসো হীমশীতল রাতে ,
আমার মনের কার্নিশে জমিন বেয়ে বেয়ে।
জানি তুমিও পুষে রাখো কষ্টগুলো তোমার বুকের ডিপফ্রিজে,
তুমি খুলে দিও তার বন্ধ কপাটগুলো সহাস্যে ।
তোমার বুকের মাঝে জমে থাকা কষ্টের শীতল পাহাড়টা,
গলিয়ে দেবো আমার বুকের নাইনটি ডিগ্রি উষ্নতায়।
তুমি ভিজিয়ে দিও প্রবল বর্ষনে আমার বুকের শুষ্ক মরু বালুচর,
তোমার অপেক্ষায় আমার প্রতিনিয়ত রাত শেষে হয় ভোর।।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।