জীবন
- কানিজ ফাতেমা আনিকা ২৮-০৩-২০২৪


সকাল থেকে প্রচণ্ড রোদ।
ছেলে'টা ছাতা নিয়ে যায়নি।
ফিরলো পুরো কাকভেজা হয়ে
ছাতা'টা ঘরে খটখটে শুকনো।


দুদিন আগেই
ওদের বিয়ের চারবছর হলো।
"Happily married"
স্টেটাস উঠলো ফেসবুকে।
সব্বাই বলে গেলো
"made for each other"।
সেদিনই রাতে
চোদ্দটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে
আত্মহত্যা করেছিলো মেয়েটি।
ঘরে তখনও
সবকটা গিফট খোলা হয়নি।


মা অন্ত প্রাণ ছিলো
ছোটথেকেই বাবাই।
কতো বড় অবধি
মা'কে জড়িয়ে ঘুমাতো।
শেষ তিনবছর ধরে
বাবা মারা যাওয়ার পরে
মা'কে বৃদ্ধাশ্রমে
রেখে এসেছে ছেলে।
বউ,বাচ্চা নিয়ে আলাদা থাকতে।


নয় বছরের সম্পর্ক
নিহার আর অর্পিতার।
বিয়ে ফাইনাল।
কার্ড ছেপে গেছে।
বিয়ের আগের দিন
টেক্সট ঢুকলো নিহারের ফোনে।
অর্পিতার মেসেজ।
"কালই বাল্যবন্ধু অনিমেষ ফিরেছে
লন্ডন থেকে,বিয়ে'টা পেছোতে চাই।
Give me sometime to think again"।


সুবল ছিলো পাড়ার বন্ধু
তথা স্কুলের বন্ধু অরিত্রর।
অসম্ভব প্রাণ খোলা,
মাটির ছেলে।
কলেজ পাশ করার
কুড়ি বছর পর ফিরেছে
বিদেশ থেকে।
অরিত্র উচ্চমাধ্যমিকের পর
সংসারের হাল ধরতে
মুদির দোকান দিলো।
এখন সে মুদির দোকানের মালিক।
তবু চিনতে ভুল করেনি সুবলকে।
বুকে জড়িয়ে ধরেছিলো।
সুবল বলেছিলো
"আপনি কোথাও ভুল করছেন"!

কি ভাবছেন?
জীবন এটাই।
এমনটাই.....

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 5টি মন্তব্য এসেছে।

Dojieb
২৩-০৪-২০২০ ১১:১৯ মিঃ

পারফেক্ট, আপু। চালিয়ে যান

kanizc0
২৩-০৪-২০২০ ১১:১৩ মিঃ

is it okay now vaiya?

Dojieb
২৩-০৪-২০২০ ১০:০৮ মিঃ

আপু, কবিতাটার প্যারাগুলো ১,২... নাম্বারিং না করলে কন্সিসটেন্সি আসবেনা। প্রতি প্যারার উপরে ১,২,৩... লিখে দেন, শেষের প্যারাটাসহ।

kanizc0
২৩-০৪-২০২০ ০৯:৫৮ মিঃ

ধন্যবাদ ভাইয়া

Dojieb
২৩-০৪-২০২০ ০৯:৩৯ মিঃ

এক্সেলেন্ট... আপু, সংখ্যাগুলো প্যারার উপরে দেন। ১) ভাবে নয়।। বেস্ট অফ লাক আপু... আপনি অসাধারণ লিখছেন