প্রাক্তন
- Tonoy Chowdhury - জলোসৌধ ২৫-০৪-২০২৪

একতরফা ভালোবাসায় নিরবদ্য অধিকার,
নিরাকাঙ্ক্ষায় নিভৃতে বিষণ্ণ চেহারায় বন্দী;
আজ একরত্তি ভালোবাসা ডাকপিয়নের
সাইকেলে চেপে খামের ভিতর করেনা আসা-যাওয়া!

যতদূর তোমার প্রেম এসেছে নিরন্তরাল নৌকায় চড়ে,
কতশত সহস্র কোটি বছরের প্রতীক্ষার পড়ে।
অন্তরে প্রণয়ের প্রোজ্জ্বলন শিখা জ্বেলে,
মেঘেদের দলে নৈঃশব্দ্যের রাজ্য ঘিরে।

আজো তোমার নির্মোহ ছোঁয়া বুকে বয়ে বেড়ায়—
অহর্নিশি তোমার স্মৃতির আঙ্গিনার মণিকোঠায়;
অজানায় বিলীন হয়েছি সমস্ত জঞ্জাল ঠেলে,
শ্রাবণ সন্ধ্যার বর্ষণমুখর রাতে নিখোঁজ হওয়ার তরে।

প্রথম উষ্ণ চুম্বনের স্মৃতি আঁকি ওই—
তিলোত্তমা নগরীর বুক চিরে ক্লান্ত অসাড় দেহে
ভালোবাসাবাসির অচলিষ্ণু মেঠো পথ জুড়ে।

যে গল্পে প্রণয়ের নামে শুধু অভিনয় আশ্রয়
নয়ন হৃদয়রে রেখেছিল ভোলায়,—
যেতে দিয়েছি ছলনাগুলো'কে বিনা বাঁধায়।

শ্রবণ করি ঝুম বর্ষায় বজ্রের আঘাত ধ্বনি,
শরীর মন জুড়ে চাপা একটা ঘ্রাণ তোমায়
জড়িয়ে ধরার আকাঙ্ক্ষায়!

ক্ষীণকন্ঠের আহৃত কথোপকথনে,
অতিপরিচিত এক জায়গায় যেখানে অনেকগুলো;
শিউলি ফুলের গাছ নিরবচ্ছিন্নভাবে দাঁড়িয়ে আছে
জানালার ভিতর-বাহির চৌকো চৌকো রোদের আসা-যাওয়া;
তখন নির্ভুলে প্রথম আলাপন আমাদের,
যাই যাই করে হয়ে ওঠেনি যাওয়া,
এখন সবই ঠিক আছে তুমি আমি ছাড়া।

আঙুলে আঙুল ঠেকিয়ে পথচলা;
ওই তিলোত্তমা নগরীর অলিগলির,
পথের ধূলার প্রেমে পড়া,
আর মুগ্ধতায় ভালোবাসি বারংবার বলে ওঠা,
পহেলা ফাল্গুন— পহেলা বৈশাখ,
সুনিবিড় গাছের নিচে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা,
আজি সবই এক রয়ে গেছে
তোমার মহাপ্রস্থানের অনুভূতিহীনতার কোল ঘেঁষে!

প্রকাশ সময়কালঃ ১১ বৈশাখ, ১৪২৭

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।