শ্রমিক
- কানিজ ফাতেমা আনিকা ২০-০৪-২০২৪

গরমে তেতে পুড়ে
কাজের মাসি
কাজ করতে এলে
আগে ফ্যানটা চালিয়ে
বসতে বলুন।
এক গ্লাস জল দিন।

প্রচন্ড বৃষ্টিতে
যে রিকশা কাকুর রিস্কায়
বাড়ি ফিরছেন
ক্ষমতা থাকলে (সামর্থ্য)
দুটো টাকা বেশি দিন।

আপনার সিফটমেন্টের সময়ে
যে ভায়েরা ঘাম ঝরিয়ে
ভারী ভারী মালপত্র
এদিক ওদিক নিয়ে
আসছে যাচ্ছে তাঁদের সামনে থাকুন।
দরকার মতো তাঁদের
সাহায্য করার চেষ্টা করুন
সম্পূর্ন হাত গুটিয়ে না থেকে।

ট্রেনে বা রাস্তায় যে বয়স্ক বাদমওয়ালা,
খেলনাওয়ালা দিদা,দাদু উঠেছেন
প্রয়োজন না থাকলেও
মাঝেমধ্যে কিনুন জিনিস ওঁদের থেকে।
ওরা কেউ ভিক্ষা করছেনা,
বয়সের প্রতিবন্ধকতা
কাটিয়ে উঠে সৎ ভাবে
পরিশ্রম করে রোজগার করছে।
শুধু সেটুকুর জন্য
এইটুকু সহযোগিতা করাই যায়।

বাড়িতে ভালোমন্দ খাবার রান্না হলে,
রান্নার দিদির জন্য
তুলে রাখতে ভুলবেন না।

ময়লা নিতে আসে যে ছেলেদুটো
তাঁদের ময়লা দেওয়ার সময়
তাচ্ছিল্য করে
কোনরকমে ছুঁড়ে দেবেন না।
ঘেন্না ওদের ও লাগে!

মহিলা অটোচালক দেখলে
বা বাস কন্ডাক্টার দেখলে
দাঁত ক্যালাবেন না।

শ্রমকে মূল্য দিন।
শ্রমিকদের শ্রদ্ধা করুন।
পৃথিবীতে কোনো কাজ ছোটো নয়।
সৎ ভাবে নিজের পরিশ্রমে
যে মানুষ খেটে খাচ্ছে
সে স্বনির্ভর
এবং অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন।
তার যোগ্যতা এবং শ্রমকে
সম্মান করুন।

কারোর বাবা যদি রিকশা চালক হন,
কারোর মা যদি রান্নার কাজ করেন
তাহলে তার দিকে
নাক সিটকাবেন না।
লজ্জা পাবেন না।
বরং তারা যেন কোনো প্রকার
হীনমন্যতায় না ভোগে
সেইটুকু খেয়াল করবেন।

শুভ শ্রমিক দিবস ❤

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 2টি মন্তব্য এসেছে।

kanizc0
০২-০৫-২০২০ ১৪:০২ মিঃ

Acchaa...

Dojieb
০২-০৫-২০২০ ১১:৩৮ মিঃ

বক্তব্য খুব সুন্দর। কিন্তু এটাকে ঠিক কবিতা বলে মনে হচ্ছেনা আপু। ইট ক্যুড হ্যাভ বিন মাচ মাচ মোর পাওয়ারফুল।