ঋণ
- স্বপন চক্রবর্তী ২৫-০৪-২০২৪

পাওনা হলে সময় করে মেটাতে হয় ঋণ
ব্যাস্ততা তো থাকবে কাজে যেমন প্রতিদিন
নিয়ম বাধা তুচ্ছ করে ধোঁয়ার রসায়ন
কাঁচের ওপার, ধাতব ডানায় সফল উৎক্ষেপণ
তোমার ভাগে মাটির ফাটল, বিষাক্ত নীল জল,
আমি নেবো ষোলো আনাই, আসমুদ্র হিমাচল I

ছড়িয়ে ছিটিয়ে পানপাত্রে, সাজিয়ে বিলাস সুখ I
দেয়াল জুড়ে অবিকল তোমার আগের মুখ,
তুমি তখন সদ্যস্নাত, আলতো এলো চুলে,
বৃষ্টি বিকেল মেঘের দল, নিজের খেয়ালে,
পুকুর জলে, কদম ডালে , বন সবুজের পাড়ে,
টিনের চালে, টাপুর টুপুর, নামতো মুষলধারে I
গাঁদার পাশে নীলমনিটাও সেদিন শীতের ভোরে,
কুয়াশা মেখে, দাঁড়িয়েছিল আমার করিডোরে I

এখন শিকে টুকরো গাঁথা, পুড়ছে গ্রিলের তাপে,
রক্তমাখা পালক পড়ে ,তোমার একলা দ্বীপে I
ঝলসে যায় দেহ, আমি মুখে নিয়ে আল্লাদিত
আরো চাই, যথাক্রমে তোমার অরণ্যে ছিল যত

কলরব শেষ হয়, এক পৃথিবী নির্জনতায়,
মহাশ্মশানের নীরবতা আমারো অসহ্য শোনায় I
তুমি যে উপুড় করেছো এতো, শূন্য চারিদিক,
তারও তো শেষ আছে,ঘুরে দাঁড়ানোই সঠিক I
ফিরিয়ে নিতে তোমার ধানক্ষেতের সবুজ পার,
নীল আকাশ, পাখির অরণ্য, মেঘ হাঁটা পাহাড় I

এখন রাতের তারাদের আবদারে,জোনাকিরা জ্বলে,
শুধু আমি গৃহবন্দি, কর্মহীন, আছি অন্তরালে I
অচেনা অণুজীব মিটিয়ে নেয়, দেনা-পাওনার ঋন,
আমি অসহায়.............
ইতালি থেকে আমেরিকা, চীন থেকে বার্লিন II

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।