অর্বাচীন
- মাহমুদ রিয়াদ পলাশ - শেষ শ্রাবণের গল্প ২৪-০৪-২০২৪

ধরো, ঝড়ের দিনে গাছটার নিচে দাঁড়িয়ে
'আম পড় আম পড়' নামতা জপছো
ঝড়ো হাওয়ায় খুব দুলছে গুটি গুটি আম,
ঝরছেনা একটাও আর গাছটা হাসছে কোমর দুলিয়ে,
তোমার ভেজা চুল আর মায়াময় রংগীন ফিতে
যুবতি গাছটায় সবে স্পর্শকাতর হয়ে ওঠা পাতা গুলোয়
ছুঁয়ে দিতেই, একরাশ কাতরতার ভয়ে
গুটি গুটি আম লাফ দিয়ে উঠে যায় মগ ডালে,
তুমি ছুঁতে না পারার বিক্ষোভে
ভাংগা ইটের ঢিল ছুঁড়ে মারো,
আমার মনোভুমে একটা যে কাঁচের জানালা ছিলো
তুমি ঠিক ভুলে গিয়ে ছিলে,
তার কাঁচ ঝনঝন ভেংগে পরে লাল নীল সবুজ রংয়ে
তুমি কি ঘাড় কাত করে দেখো আড় চোখে
আমার প্রেম প্রস্তাব গুলো অবিবেচক সরলরেখায়
গোলগোল পুঁতি হয়ে ছুটে পালায় বিব্রতবোধে।

ভাবছি এই ভয়াবহ ছোঁয়াচে রোগের দিনে
আমি আমগাছটাকে কি করে বোঝাবো
কাঁচাআমের সাথে আমার গুটিগুটি প্রেম এককরে দাও,
কি যে শংকায় ভুগি সারা রাত, জানিইতো
লোভী মানুষেরা টের পেলে, আম ভর্তা করার আগে
কুচি কুচি করে কাটবে আমাদের সত্ত্বার বাকল।

তার চে' আমি ঝড় হয়ে যাই, নিমেষেই লন্ডভন্ড করে
কাদা ও জলে ছড়িয়ে দিই সব কচি আম,
কি হবে ওদের ভবিষ্যতে পেকে রাংগা হয়ে?
আমিতো আর দশজনের মতোই অর্বাচীন
না বুঝি মানুষ না বুঝি ঘরে বসে থাকা ।। ২০.০৪.২০

২০.০৪.২০২০
#মাহমুদ_রিয়াদ_পলাশ

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।