তিলোত্তমা
- Tonoy Chowdhury - শ্রূয়মাণ ২৪-০৪-২০২৪

খামোশ খুবসুরত মুশকান চিঁহি'তে
বিন্দু বিন্দু জলে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে,
ঐন্দ্রিলার জহরত ভরা শ্রীটুকুনের অন্ধ্রেরন্ধ্রে।
নিরতিশয় সন্ধ্যা কপালে জ্যোৎস্না ছড়িয়ে
অনিমিখ নীলাদ্রি— মেঘের স্তনে মুখ লুকিয়ে
রয়েছ অন্ধকারে'র আমন্ত্রণে
নিখোঁজ,
অসংখ্য জোনাকির অধরোষ্ঠের ভিতর।

কঞ্জনয়নী চিনিচাঁপার খায়েশে যেমনটি,
আয়েশ করে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চাঁদের জন্ম
নৈঃশব্দ্যের বন্দনায়,— ভোরের ঘাসে শিশিরের
জমতে থাকা এক বিরাট সকালের আহ্বানে,
তেমনটি ভালোবেসে দাঁড়িয়েছে বৈশাখের একঠাঁই রোদ
উঠানে ছড়িয়ে থাকা ধানের উপর,
কুয়াশার চাদরে।

অদীক্ষিতের মতো খোঁজা হয়নি,
শ্রাবণসন্ধ্যার ঈশানকোণে তোমায়,
এক পৃথিবীর পুরনো নক্ষত্রগুলো আজো তোমার প্রতীক্ষায়।
মুছে যাক কালো মেঘ, ভেঙে যাক সব বাঁধা
এক পৃথিবীর নিচে, হোক আবার তোমার-আমার দেখা।
সেসব যুগে যখন ভালোবাসার
অধিকার নিরবধি উপেক্ষা পায়না
চড়াই-উতরাই'য়ে প্রেমের অনুরণন বয়ে বেড়ায় চারিদিকে,
চলোর্মির স্রোতে কান পেতে শোনা যায় প্রেমসঙ্গীত,
জলরঙের উপর রামধনুর পালতোলা নৌকায়
দেখা যায় নীল শাড়িতে তোমায়।
সেসব যুগে ভালোবেসে, মহাকালের স্বপ্নজালে
খুনসুটির আকৃতিতে বেঁচে রয়,
তিলোত্তমা'র চারুনেত্র এ আমার হৃদয়।

খায়েশ ওমন রূপে, জাদুচোখে, নিরাকাঙ্ক্ষায় ভেসে— ওঠা
কোনো শামুকের আভায় চেয়ে থাকা— যাদের অন্তরে তৃপ্তির
ছবি হয়ে আছো, নিরবয়ব, নিরাকার, অপরাহ্নবেলা,
মাধবীলতার অপূর্ব, অপরূপ, লাবণ্যময়ী, সুন্দরী, কাননবালা,
হৃদয়হারিণী... সরল, শুভ্র, পবিত্রতা
অজস্র কদমফুলের অনিমেষ ক্লান্ত পাপড়ির পাতা।


৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৭

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

M2_mohi
১৮-০৫-২০২০ ২০:২৮ মিঃ

কমনীয় ভাবনা