বুয়া
- রফিকুল আলম ২৯-০৩-২০২৪

আমি এক গেরস্ত বাড়ীর বুয়া
বাস করি সুরক্ষিত বালাখানায়
সুকঠিণ পর্দা পুশীদা ঘেরা
অভিজাত এলাকায়।
কপাটে তিন পর্দা আর বাতায়নে চার।
নয়নসুখে তৈরী হাতাহীন লম্বা পিরানে
পুষ্পালী দেহ ঢেকে রাখে
আমার মেম সাহেব
নারী নির‌যাতন রোধ কমিটির নেত্রী।
হররোজ আসে দু’চার জন মামু খালু নেতা
রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে তবে বৈঠকখানায় নয়।
না, ------- আমার কষ্ট হয়না কোন,
কারণ, গরম কিম্বা ঠান্ডা পরিবেশন করা নিষেধ তখন।
না,----- আমার কষ্ট পেতে নেই
কর্তাওতো আমাকে কম আদর করেনা
যদিও তিন মাস পর বেতন পাই
এক মাসের আমি যে নেত্রীর বাড়ীর বুয়া।
না, না আমার কষ্ট হয়না
গভীর রাত পর‌যন্ত অপেক্ষায় থাকতে
ডাইনিং রুমের মেঝেতে বসে।
যদিও প্রায়ই বাসি হয় রাতের খাবার
মেম সাহেব ফিরে গভীর রাতে
কণ্ঠের কথায় কেমন যেন জড়তা
স্ট্রোক করা রুগীর মত্।
দেহ আর মুখের বিশেষ সুগন্ধে
আমার গা ঘিন ঘিন করে ওঠে।
না, না তবুও আমার কষ্ট হয়না
কারণ আমার মত বুয়াদের
অধিকার আদায়ের জন্যেইতো
মেম সাহেবের এত ত্যাগ এত কষ্ট।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

M2_mohi
২১-০৫-২০২০ ১৯:২২ মিঃ

অপরিসীম ভালো লাগলো।