না ভোলা না অবহেলা
- হিমেল তাওসিফ জয় ২৮-০৩-২০২৪

বছর কাটলো আমার দুই-তিন-চার অতঃপর
বাংলার ছোঁয়া লেগে আছে হাত-পা-মুখের 'পর;
মৃদু কোলাহল পাখির ডাক প্রতিদিনি শোনা হয়;
রাত্রি আসে রাত্রি যায় আলোতে ভোরের উদয়;
সবই প্রতিদিনকার- মাঠ-ঘাঁট-রৌদ্র-ছায়া-নদী-নালা:
তবু ভুলি নাকো তাদেরে কভু করি নাকো অবহেলা-
.
কোথায়? চলে এসো কিশোর, দেখাও লাঠিমের খেলা-
মনে পড়ে যায় খড়-জ্বালানো অলস সেইসব সময়;
মামাবাড়ির স্মৃতিপুকুরের সাথে আবার যদি দেখা হয়-
নাকি সেগুনবাগিচাঘেঁষা দীঘিটির সাথে দেখো হয়ে যায় দেখা-
কিনারা তার জলভেজা মেটে, দূর-পাড় ঘাসে ঢাকা;
আমি ভুলি নিকো তারে কভু করি নিকো অবহেলা-
.
মনে পড়ে যায় আবছা: একদিন বানিয়ে কলার ভেলা
বৃষ্টির আবদ্ধ পানিতে ভেসেছিলাম ঘুরঘুর বহুদূর;
টুপটাপ রিমঝিম কত যে আছে মধুর সুর
বিমুগ্ধ করা বর্ষার দিনে- আচঞ্চল শুনে চলা;
.
সতেজ পল্লবের ভীড়ে লুকিয়ে থাকে মাছরাঙ্গা
কিছু মাছের খোঁজে; বর্ষণমুখর দিনে গগণ রাঙ্গা:
কোথাও সাদা- কোথাও কালো- কোথাও নীল;
কৃষ্ণ বাদল যখন হয়ে পড়ে শান্ত-শিথিল
রংধনুর উঁকি মারে- সাতরং- রঙিন আর চাঙ্গা;
.
কোথাও লজ্জাবতীর পাতা অতিথির স্পর্শে কুঁচকে যায় ঝোঁপের পারে;
কোথাও কাঁঠবিড়ালি নেচে যায় আবছায়ায় আলো-আঁধারে;
যেদিন বাংলারে চিনেছি সেদিন হতে নাম দিলাম তার সরলা,
আমি ভুলি নাকো তারে কভু করি নাকো অবহেলা।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

M2_mohi
২৪-০৫-২০২০ ০৫:৫৭ মিঃ

বিমোহিত  হলাম।