মূর্ধন্য "ণ" নাকি দন্তন্য "ন"
- মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ২৫-০৪-২০২৪

জনম যাহার নামমাত্র সস্তা হাসনাহেনার ঘ্রাণে কেটেছে সে কি দামী টিউলিপের গন্ধ কুঁড়াতে জানে বলো?
যে রৌদ্দুরে হেঁটে বেড়িয়েছে দিগন্ত,উন্মোচিত করেছিলো একরাশ ধবধবে আলোর,
সে কি কৃত্রিমরূপে বেঁচে থাকতে পারে!
কবি বড় হয়েছে স্বরবর্ণের স্বরবৃত্তে,ব্যঞ্জনবর্ণের না বলা পার্থক্যে "ণ" আর "ন" তে;
এই বিভাজন তৈরিতে ব্যঞ্জনবর্ণের আবিষ্কারক ও প্রতারক ছিলো!
প্রকৃত মন পূজারী,ওজনের মণ আর হৃদয়ের মন এর পার্থক্য বোঝে কি?
আত্রলিতা;তুমি ভেবেছ আমি হেরে গেছি,
হারবার পথ যে এতটা উন্মুক্ত নয়, ভুলে গেছ! জানো তো, যে তোমায় খুঁজে পথের দেখা মিলাতে পারে,সে কন্টকতা দূর করতেও পারে,
প্রেমিককে তুমি জিতিয়ে দিয়েছ!
এতটা অস্তিত্ব সংকটের দ্বারপ্রান্তে পৌছায়নি যে অসময়ে ঘুমিয়ে যাবো,বিশুদ্ধ আত্মার কুহুরব আছে,ভেতরটা পড়েও ক্ষমতা হয়ে ওঠে নি তোমার;
"ণ" আর "ন" এর পারস্ত হয়ে উঠে নি তোমার নমস্য জ্ঞানে।
স্বপ্ন হারে কি? আমি যে বাস্তব তুমি কল্পনা!
মৃত্যুশয্যা আবেশে রাত দিন নেই বৃষ্টি হলেই ভিজবো,
কাপুনি হাড়ে জ্বর আাসবে, কাবু হবো;
গুটি পাকিয়ে প্রেমিকা বউয়ের আঁচল,কোমড়ের আদুরে ভাজে মুখ লুকিয়ে মিশে যাবো প্রেমের শেষ সীমানায়।
আমায় রুখে কে!
স্মৃতি যখন হাতড়াবে আমায়, ছোট্ট বেলকনিতে দাঁড়িয়ে সাহিত্য ডুব দিবো,নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসলে হিসেব মিলাবো,আর একটা মন'কে পূজার আঙিনায় রেখে,
অতীতকে জিজ্ঞেস করবো,
মূর্ধন্য "ণ" নাকি দন্তন্য "ন" ;কোনটাতে ছিল তোমার স্বীকারোক্তি!







নিরিবিলি, নবীনগর
২৬-৫-২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।