তোমাকে ভালোবাসি
- রাজ উদ্দিন মিন্টু - গল্প ২৫-০৪-২০২৪

তোমাকে ভালোবাসি বলেই আজ আমি এ-তো ভদ্র যার রক্ততে ছিলো নেশা, যার ঠোঁটে ছিলো সিগারেটের প্রেম। আজ সে-ই ছেলেটা এতো ভদ্র হয়ে গেছে তোমাকে ভালোবেসে যার পরটাই তুমার অবদান। মনে আছে আমাদের প্রথম দেখা হবার কথা? জানি তোমারো মনে আছে সে দিনের কথা! সময়টা ছিলো আনুমানিক ১০ টা ৫, কলেজের পাশেই ছিলো একটা পার্কের মতো লম্বা জায়গা, সেখানে কে কি করতো কেও খেলি করতোনা। আমি সে দিন মনের আনন্দে সিগারেট ধূমপান করেছিলাম নেশা ছিলো বড্ড প্রিয়, তাই কে কখন ডাকা ডাকি করে সে দিখে কোন খেয়ালই আমার ছিলো না, আমি ছিলাম মুক্ত পাখির মতো ডানা হীন। হাতের আঙ্গুলের মাঝেই ছিল আমার সুখ-দুঃখ। কে কি বল্লো না বল্লো সে দিখে আমার কোন খেয়ালি ছিলো না। আমি ছিলাম রাজা কে জানতো? সে দিন সেই রাজার জন্য একটা রাণী চলে আসবে, সে দিনের সময়টা ছিলো খুব খারাপ আমার জন্য, আর যা হবার তাই হলো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, হঠাৎ কে যেনো এসে আমার গালে একটা খসিয়ে মারলো এক চর, আমি কিছু না বুঝার আগেই চোখ খোলে দেখি আমি হসপিটালের এক কেবিনে শুয়ে আছি। পাশে ছিলো সেই মেয়েটি। আমি ডাক্তার কে বললাম আমি এখানে কেন? ডাক্তার কিছুই বললেন না, আমি ঐ মেয়েটাকে বললাম আমি এখানে কেন? মেয়েটা আমাকে প্রথমেই SORRY বলা শুরু করে দিলো। আমার জন্যই আপনি আজ এখানে, মেয়েটি Sorry বলতো না, তার sorry বলার মূল কারণ হচ্ছে তার এক চরে আমি বেহুশ, সে দিন টাই ছিলো খুব খারাপ আমার জন্য আবার ভালোও ছিলো। মেয়েটার চরটা আমার গালে লাগে নাই বেশি নেশা করেছিলাম তাই এমনটা হলো। মেয়েটা আমাকে সব বিস্তারিত বল্লেন। আমি তার কথা শুনে একটু চিন্তিত ছিলাম, জীবনে কেও আমার উপর হাত তুলে নাই, এই মেয়েটাই প্রথম! তার পড়ে মেয়েটা চলে গেলো, আমিও চলে আসলাম বাড়িতে। তাকে আমি কিছুই বলিনাই এখন বাসায় এসে কেন জানি মনে হচ্ছে তাঁকে আমার অন্তত একটা সরি বলার দরকার ছিলো। ওটাতো আমারি সবদোষ, আমি পড়ের দিন সকালে সেই হসপিটালে যায় গিয়ে কোনরকমে মেয়েটার নাম্বার নেই। সেদিন থেকে আমার মনে একটা অন্য রকম পরিবর্তন হলো, আমি বাসায় সব সময় চিল্লাপাল্লা করতাম মাতলামি করতাম আজ কিছুই হলোনা বাসায় সবাই আমাকে নিয়ে চিন্তিত। মা আমাকে বল্লো কি রে খোকা তুই ঠিক আসছিস তো বাবা, বাবারো একি কথা। আমি বললাম আমার কিছু হয়নাই আমাকে একটু একা থাকতে দেও প্লিজ। আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত লিলাম যে সব খাবার খেয়েছি এতোদিন আসলে তো সেটা খাবার না, সেটা হলো মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাওয়া। আমি মনে মনে সক্ষত সিদ্ধান্ত নিলাম আমি আর এসব খাবো না! যার জন্য পরিবর্তন তাঁকে তো একটা ধন্যবাদ জানানো উচিত মনে করি। কল দিলাম রিং হলো কিন্তু কোন রেসপন্স পেলাম না, আবার দিলাম মেয়েটার নামও জানিনা কি এদিকে রিং হচ্ছে কিন্তু রিসিভ করছে না কেও। আমি অপেক্ষায় রইলাম কলের হঠাৎ একটা কল এলো আমি আস্তে করে বলাম হ্যালো খরগোস গলায় বল্লো কিরে আদ্রিয়ান কই তুমি মামা, আমি বললাম কে আরে মামা আমি তর বন্ধু হুমায়ুন, তকে চারা আড্ডা জমে না কই তুই আমি বললাম আমাকে কলদিস না আমি আর এসবে নেই, এ-ই বলে রেখে দিলাম, আবার আরেকটা কল আমি নরম গলায়ই বললাম হ্যালো, ফোনের ওপাশ থেকে রিপিট আসলো আদ্রিয়ান কই তুই, তর জন্য কতক্ষণ অপেক্ষা করে আছি আজ নতুন মাল নিয়ে আসছি, আমি বললাম দেখ সোহাগ আমি আর এসবে নেই প্লিজ আমাকে মুক্তি দে ভাই এসবে কিছুই নেই একথা শুনবার পড়ে বল্লো কিরে আদ্রিয়ান আজ দেখি ভুতের মুখে রাম রাম। আমি রেখে দিলাম ফোন টা। কিছুক্ষণ পড়ে আরেকটি কল, এবার আমি আমার ফোন টা বন্ধ করে দিয়েছি। মনে করেছিলাম আমার বন্ধুদের মধ্যে কেও হবে। বেশ কিছুক্ষণ পড়ে ফোন খুলতেই দেখে অনেক গুলো কল, আর একটা মেসেজ, মেসেজে লেখা কে আপনি? আমি রিপ্লাই দিলাম আমি আদ্রিয়ান। আপনি? ওপাশে থেকে রিপ্লাই দিলো আমি নীলাদ্রি, আপনি কেনো কল দিয়েছিলেন বলেন, আমি বললাম আপনি কি ভেস্তো? নীলাদ্রি বল্লো না বলেন,,,, আমি বললাম আপনার ঋণ আমি কি দিয়ে সুদ করবো আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার জীবনে এতোটা পরিবর্তন এনে দেবার জন্য। নীলাদ্রি বল্লো মানে? আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম সব কথা শুনবার পড়ে নীলাদ্রিকে আমার সাথে দেখা করতে প্রস্তাব দেই। সে একটু ভাবলো পড়ে আবার হে বলে দিলো। তার পরে আমরা একদিন দেখা করি আর আসতে আসতে আমাদের বন্ধুত্ব হয়ে গেলো, আর বন্ধুত্ব থেকে হয়েগেলো ভালোবাসা।

একটি মেয়েই পারে একটি ছেলেকে খারাপ পথ থেকে এনে ভালো একটা জীবন দিতে। আবার একটি মেয়েই পারে একটি ভালো ছেলেকে খারাপ পথে হাসতে হাসতে নিয়ে জেতে!

মানুষের জীবন, গল্পের মতোই শুরু, আবার গল্পের মতোই শেষ!

(তোমাকে ভালোবাসি আমার লেখা প্রথম পর্ব)

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

M2_mohi
২৭-০৫-২০২০ ১৩:২৪ মিঃ

ভীষণ ভালো লাগলো লেখা ।