আক্ষেপ
- শুভ্রেন্দু শেখর গায়েন ২৫-০৪-২০২৪

এক গাঁয়েতে বাস দুজনার নিত্য দেখা বাঁধে
দৃষ্টি বাণের বৃষ্টি ভিজে পড়লো প্রেমের ফাঁদে৷
সেদিন বালা ধরলো আড়ি চাই না এমন সুখ
আজ যদি না করছো বিয়ে দেখবে মরা মুখ।
ঘর ছেড়ে তাই চললো দুজন অজানা উদ্দেশে
পিসতুতো এক দিদির বাড়ি উঠলো অবশেষে৷
ভায়ের সে দুর্দশা দেখে জাগলো দিদির ব্যথা
মামার কাছে পৌঁছে দিলো সকল কীর্তি কথা।
বউ সাজিয়ে রাখলো দিদি বুঝলো কনের মন,
আসলো যত পড়শি আরো বন্ধু, আপন জন৷
বরের বাড়ির আপত্তি নেই, কনের পিসে যিনি
ফিরিয়ে নেবার সাধ্য মতন চেষ্টা চালান তিনি৷
পাশের গাঁয়ের বন্ধু তারই যার ছিল না মেয়ে
মিমাংশার আশ্বাসে মেয়ে তুললো বাড়ি নিয়ে৷
ধান্দাবাজে ফন্দি করে সুযোগ তো এই বেলা
চল্ না সবাই ধরবো গিয়ে উঠবে জমে খেলা৷
ঘণ্টাখানি তেল মাখিয়ে তুললো এমন গাছে
ফুললো যেন ট্যাপার মত থামায় কেবা আছে?
কৌশলেতে বাপ বলিয়ে আসলো যখন বশে
বললো দাদা লাগাও বিয়ে দেখুক দেশে-দশে৷
বিয়ের তারিখ সিলেক্ট হল মাস ছিল বৈশাখ
উলুর ধ্বনি সানাই সাথে বাজলো কতই শাঁখ৷
বরযাত্রী সে আর কজন গাঁয়ের লোকে এসে
বিবাহ অন্তে ভোজন সারে দন্ত মেলে হেসে৷
সাঙ্গ হলে বিয়ের আসর চললো মেয়ে বাড়ি
ভুতের বাপের শ্রাদ্ধে গেল গড়চা কাঁড়ি কাঁড়ি৷
প্রথম আসর জমলো ভালো ক্রমান্বয়ে শেষে
আসল-বাপের প্রবল টানে নকল গেল ভেসে
বললো সে তাই দুঃখ নিয়ে প্রবাদটা যে খাঁটি—
দুগ্ধে-আমে যায় মিলে আর আঁস্তাকুড়ে আটি!!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।