নিঃসঙ্গ প্রহরী সময়ে নিশ্চুপ
- মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ২৯-০৩-২০২৪

ক্ষিদে চোখ,পিপাসায় ক্লান্ত হলো মন,উত্তপ্ত হলো কন্ঠনালী,
এ দোজখ ময়ূরাক্ষী নায়ে পার হওয়া দুষ্কর।
ক্লেশ, যাতনা মনের খোঁজ কেউ নেয় না,এই মর্মান্তিক সারাংশ কেউ কি বুঝবে?
রোদন এত হলো, মর্মান্তুদ কান্নার চেয়ে নির্মম।
এ কেমন নাড়ী,কেমন তার টান;এতটা জেনেও প্রহরী আমি নিশ্চুপ! 
চিতা জ্বলে,মোম পোড়ে, ইঁটপাথরের ঘর ওঠে,মেরুকরণ হয় নাজুক প্রথার।
কৈশরে নাকি এক্কেবারে ছেলেবেলায় উচ্চশিখরে আসতে গিয়ে কৌতুহলবশত ঢুকে পরি বিশাল ভালোবাসার প্রশস্ত রাজ্যে;
রাস্তা পেরোতে গিয়ে উল্টোচোখে পড়ে যাই মনের বাধভাঙ্গা দেয়ালের আড়ালে,আহত মন শুশ্রূষা চায় প্রেমের।
বহুদিন পর ভালোবাসা উজ্জ্বল নাকি ঘোলাটে, আবারো কৌতুহলবশত! চোখ মেলতে গিয়ে আঁখির আঁখির সংস্পর্শে মনের আশ্রয় নিয়ে ফেলি,
ঠিক মধ্যে সময়টাতে কি হলো তা বলা অবাঞ্ছনীয়।
ভালোবাসায় যা জমে খাদ হয়; কুয়াশার চালনে কি সবটা যায়?
হয়তো-বা উপলব্ধির শামিল কিংবা বৈপরীত্য প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত হয়, তবু প্রহরী আমি নিশ্চুপ!
এ মনের উন্মাদনা, এ প্রেমের বিষ, এ কষ্টের ঝুড়ি রাখবো কোথায়;
আয়না চক্ষুবন্দী করলে আরশী হয়ে যায়,তার পরিচয় গুনতে চায় লালরশিতে হলদে বাসনের জটলা পাকা ফকির!
তাকে কি বলবো? ছলনাময়ী নাকি দ্বীপান্বিতা!
উত্তরে প্রহরী আমি নিশ্চুপ!
এত যন্ত্রণা যে পাহাড় উপড়ে ফেলা যায়,সাগর ঢেউ আটকে যায় কষ্টের স্তুপে, তবুও তোমা রূপে সিক্ত হয় রক্তচক্ষু!
তাবৎ কালে তুমি এমন পাবে না, কতটা ঠাসা নিরাপত্তা বলয়ে তুমি বড় হয়ে উঠলে,
এমন মহিমায় লুকানো ছিলে তুমি, পায়নি বুছস্য কোন বাহিনী, আন্ডারওয়ার্ল্ড কোন ডন!
এক সামান্য প্রহরী তোমায় ছেদ হতে দেয়নি সমাজে।
আজ প্রহরী নিশ্চুপ! নিঃসঙ্গ!!





স্টারলিং লন্ড্রী লিমিটেড
৩০-৫-২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

M2_mohi
৩০-০৫-২০২০ ২২:৪৫ মিঃ

অসাধারণ লেখা ।