প্রজাকথন
- মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ২৫-০৪-২০২৪

এক প্রজার ডায়েরিটা উইপোকা’র কবলে পড়েছিল বলে আংশিক বোধগম্য হলো কবি'র,
ঘুণপোকায় খাওয়ার মত কণর কণর শব্দ করে পুরোটা জিবে তুলে নিল,গল্পটা স্বাদের!
কাহিনী-কেচ্ছা স্বাদের-ই হয়, শুধুমাত্র যে এই গল্পের ঝড়ে ডুবে গেছে সে মাটিচাপায় গাছ হয়ে রয়,
কেউ জল পায় কেউ পরগাছা হয়ে আবারো মরে!
এক রাজকন্যা ছিলো,
কেশিনী নয়, মনবতী
পদচারণায় প্রজা একদা কুশেশয় তোলা ব্যস্ত দীঘল রাজকন্যার সম্মুখীন হয়ে গেল অজান্তে;
না সম্ভব না! বলে ফিরে এলো প্রজা।
তবুও মনে কৃত হলো শাহজাহান-মমতাজ! কি দুঃসাহস!
কৃশতা জানা ছেলেটি নাজুক প্রথার অবসান চায়,প্রেমে পরে।

প্রেম কি আদিকাল থেকেই চোখের যাদু! আজকাল কিংবা ভবিষ্যৎ এভাবেই প্রেমে পরবে।
এই আখিরূপে,গতচেতন ছিল ছেলেটি কয়েকশ গ্লাক্সির আয়ুষ্কালে,
আজ ঢুণ্টন শেষ হয়েছে,ঝঞ্ঝা বিদায় হয়েছে আর কি; রাজকন্যা মনঃ বিছিয়ে দিল প্রাসাদের প্রবেশদ্বারে!
এই গল্প অবিশ্বাস্য! এমন হয় না। 
এর অন্তঃ ও অবিশ্বাস্য; ঠিকরে বেরিয়ে আসবে চোখ!
এরে প্রেম বলবে নাকি?  শুরু তো শঙ্কনীয়, লৌহবর্ত্ম ধরে প্রেমিকার গুঞ্জন শোনা গেল,
ভালোবাসি গো সখা! তুমি লোহল হয়ো না প্রজাপ্রান।

শক্তিভৃৎ সন্ধ্যায় অগোস্ত্যে পত্নীর অভিলাষে,প্রজা কাবু হলো মণ্ডলেশ্বরকে পূজায় সাক্ষী রেখে!
শুরু হলো নিয়ন কালে আর্য প্রেম।
সরীসৃপ প্রজা আজ উল্টো চলে, বুকে এক রাজকন্যা যে!
হয়ে উঠলো সর্বদর্শিনী এ কালে।
একা একা ধুনুচি নাচে প্রজা ছেলেটি,কি আনন্দ প্রস্তুতি!
ধ্যাত,অতশত ভাবার সময় কই,কামিনী ফুল ফুটেছে যে ধরায়।
ধুতি ছেঁড়া নাগর,পার্থক্য বোঝে না,খতিয়ান বোঝে না।

গন্ধম! খেয়ে বসলো প্রজা;
ও জানে না, এই ভুলের ক্ষমা নেই,গিনিপিগ দাহিত হয় ওঝার বিণে;
সমাজ সংবরণ করলেও, রাজ্যের অধিপতি যমরাজ, বিতাড়িত করে দিল এ রাজ্যে।
চেয়ে রইলো গতিসত্তম রাজকন্যার সহিষ্ণু প্রেমের ধীগুণ ভাণ্ডারে,
ফুরিয়ে গেছে আজ, চিত্তে প্রবেশ নিষেধ করা হলো!
প্রজা ধুতুরা খেয়ে হজম করে নিলো,অনুপায়!
ধৃতরাষ্ট্রে প্রজা প্রেমিক হতে পারে না।

রাজ্যে কন্যাদানে নিপতিত হলো,হাসিরব ফুটিলো;
রাজকন্যারও বোধদয় হলো রাজপুত্র ছাড়া কি মালাবদল হয়!










নিরিবিলি, নবীনগর
৩-৬-২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

M2_mohi
০৩-০৬-২০২০ ২১:৪৮ মিঃ

অসাধারণ ।