আমার লিমেরিক(২৯-৩৫)
- ACHINTYA SARKAR/অচিন্ত্য সরকার[পাষাণভেদী] ২০-০৪-২০২৪

(২৯)দান
অচিন্ত্য সরকার

ছবি তুলতে দানের ঘটা,চক্ষু হলো ঝালাপালা,
কলার শোকে আমি মরি,লুকিয়ে আছে কালা।
ঘর ভর্তি পেটগুলো ছেঁড়ে গায়ের ছাল,
সাত জনে ছবি তুলে,দু'কিলো দেয় চাল
দান করার সখ মিটলেও,মেটে কি আর জ্বালা?

(৩০)চাই
অচিন্ত্য সরকার

ভুখা পেটে কি করি ভাই,পাপড়ি গুলোই ধরে খাই
ঢাক,ঢোল,বাঁশি,সানাই মনে হয় সব ধানাই পানাই।
আকাশ থেকে ফুলের কুড়ি,
বেশ তো হতো পড়লে মুড়ি
পেট যে কেবল বলে খাই-খাবার চাই, কাজ চাই।

(৩১)বন্ধু
অচিন্ত্য সরকার

বন্ধু বলে দেখে নেবো,দিস কি না দিস পান
যে যা ভাবুক,আমার চাই বড়লাটের মান।
হা-ভাতে নেটিভ উপরে থাকবে,
মান টা আমার কোথায় থাকবে!
মাথা বেশি উঠতে চাইলে টেনে ধরবো কান।

(৩২)আমলা
অচিন্ত্য সরকার

স্যুট,টাই,বুটেতে,পা রাখি উঁচুতে,আমি যে সরকারি আমলা
আইনটা জানা আছে,মামারা পাশে আছে,ঠুকে দেব মামলা।
আম জনতায় আইন শেখাই,
আমার বেলা পাওয়ার দেখাই
যেখানে যা পাই,দু'হাতে খাই,পেটতো নয়,যেন মস্ত গামলা।

(৩৩) জাত
অচিন্ত্য সরকার

আনারসে বারুদ খেয়ে মরলো যদি হাতি
কি এসে যায় হাতির,মানুষ জানায় জাতি।
পশুর ও আছে মান,
তাই মুগলি,টারজান
মানুষ তার মারলো জাত,হল বড়ই পাতি।


(৩৪)নেই
অচিন্ত্য সরকার

যান নেই,বাহন নেই,অফিস,বাজার নেই,তাড়া নেই,
জলে,কলে,হলে,মলে,নভোনীলে দূষণের বাড় নেই,
পলিটিক্স নেই চায়ের ঠেকে
ছন্দ নেই,জীবন তাল কেটে,
লুকিয়ে বাঁচলেও আজ,ভীতু বলবার লোক নেই।

(৩৫)বিষন্ন
অচিন্ত্য সরকার

ফোনের সাথে সঙ্গ অনুক্ষণ,তবু একা বড় মন
বন্ধু বন্ধু ছায়ার খেলা,একলা কাটে বিষন্ন ক্ষণ।
জানলা দিয়ে দূর আকাশে চাই,
কোথাও কোন মেঘের চিহৃ নাই
মৃত্যুর পথ চেয়ে,দিন গুনে বাড়ে,বিষন্ন জীবন।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।