নদীর বৈচিত্র্য
- মোঃ রায়হান কাজী - জীবন থেকে নেওয়া ২৫-০৪-২০২৪

নদীর বৈচিত্র্য
মোঃ রায়হান কাজী
================
যখনি চোখে পড়ে নদী,
আনমনে হয়ে ওঠি আমি,
ভ্রমণ করি যখন লঞ্চে করে,
মৃদুতা ছড়ায় পুরোটা সময় ধরে।
যেখনি তাকাই নদীর দিকে,
মনটা আমার হাহাকার করে ওঠে।
বুড়ীগঙ্গা,শীতলক্ষা প্রাণের দিকে তাকিয়ে,
অবচেতন হয়ে পড়ে আমি।
কলকারখানাসহ যত আছে শিল্পালয়,
করছে দূষণ নিজেদের মত।
জলের দিকে যখনি তাকাই,
যএতএ ময়লা-আর্বজনা দেখতে পাই।
যেইনা ভাবছি আলো-বাতাস খাবো মন ভরে,
দূর্গন্ধে পেটফুলে ওঠে।
একটু পরে তাকিয়ে দেখি নদীর দিকে,
রেশটুকু কাটেনি ভালো করে।

যখনি আসি মেঘনা নদীতে,
ছেয়ে দেখি রূপালী ঢেউ এর সাথে,
সূর্যের আলো খেলা করে।
মনটা উৎফুল্ল হয়ে ওঠে।
চারদিকে বাতাস বহে,
পাখিরা উড়াউড়ি করে।
মুহতার সৃষ্টি করে আপন সুরে।
আমিও ভাসি তার রেশ ধরে।
বৈচিত্র্য সব প্রাণি আছে এরি মাঝে।
পাখিরা উড়ে, পাখিরা ভাসে,
নদীর মাঝখানে।
তাদের রুপ দেখে,
আমিও গান দরি চেনাসুরের সাথে।
দূর গগণে তাকিয়ে দেখি,
সুদর্শন উড়ছে আকাশে।
জেলে ভাই মাছ ধরে,
আনন্দের সাথে ।
আমিও তাই দেখি মুগ্ধতায় ভর করে।
যখনি আসে কোন নৌক-স্টিমার,
আমিও তাকিয়ে দেখি ঢেউ এর টান।
পদ্মা,মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী
যেথায় মিলেমিশে হয়েছে একাকার।
চক্রেতে সৃষ্টি করে আত্মীয়তা হেন।
শেষবেলায় আলো-আঁধারির সাথে,
সবি যেন মিলেমিশে হয়েছে অগোচরে ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।