আমার দেখা অদেখা
- মোঃ রায়হান কাজী - জীবন থেকে নেওয়া ২০-০৪-২০২৪

আমার দেখা অদেখা
মোঃ রায়হান কাজী
=======================
ধরনীর এই পথে কতলোক আসে আবার চলে যায়।
কজনই বা তার পদচিহ্ন ফেলে যেতে পারে।
অনেকে না থেকেও বেঁচে আছেন।
তার কাজকর্ম আর গুণাবলি দিয়ে।

আমি অনেক শুনেছি বাবামায়ের মুখ থেকে।
যতোই শুনেছি ততই আবেগ ফুলিত হয়েছি,
তার কাজকর্ম আর সততা সম্পর্কে জেনে।
নিজেকে গর্বিত মনে করি পূর্ব পুরুষ হিসেবে।

তিনি উনিশ শতকের মাঝের দিকে
উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেছেন,
কলকাতার দেবোন মাদরাসা থেকে।
তিনি আজমীর শরীফে,
ইমামতি করেছেন কিছু বছর।

সবকিছু ফেলে ছুটে এসেছিলেন,
প্রিয় জন্মভূমির মাটিতে কিছু করবে বলে।
এসেই নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন,
ঘিলাতলী সামাদিয়া ফাজিল মাদরাসা।

শিক্ষার দ্বার উন্মোচিত করেন,
মানবিক মর্যাদা বিকাশের জন্য।
শিক্ষা অর্জন করতে হয়।
তা কখনো এমনি এমনি আসেনা।

জন্মের পর মানুষ থাকে শিক্ষাহীন।
জ্ঞানভান্ডার থাকে শূন্য।
তা পরিপূর্ণতা পায় শিক্ষক দ্বারা।
দাদা তাই শিক্ষার বীজ চড়িয়েছেন পুরু সমাজ জুড়ে।

ধ্বংসা অবশেষ থেকে মসজিদ
বের করে এনেছেন লোকজন মিলে।
তারমধ্যে আছে নারায়পুরের কালিবাড়ির মসজিদখানা।
নামাজ পড়িয়েছেন, শিখিয়েছেন বিনা পারিশ্রমীকে।

হজ্জ করতে গেছেন সৌদি আরবে,
কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে, কিছুটা পথ গাড়িতে করে,
বাকিটা পথ জাহাজে করে।
সবকিছুতেই যেন ছিলো মুগ্ধতায় ভরপুর।

গরিবদের মাঝে দান করেছেন,
মনপ্রাণ উজাড় করে।
দাদার এতসব গুনের কথা শুনে,
আক্ষেপে পুড়ি তাকে না দেখতে পাওয়াতে।

তার তৈরি শিক্ষার স্থাপত্য দেখে,
তার ফেলে যাওয়া স্মৃতিচিহ্ন থেকে,
তাকে বুকের মাঝে লালন করে,
কিছুটা আক্ষেপ লুকায় নিজের মাঝে।

তাকে অনুসরণ করে, তার আর্দশে মহীয়ান হয়ে।
বাকিটা পথ শেষ করতে চাই,
মানবতার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে।
এতসবের কারণে তিনি বেঁচে আছেন আজ মানবের মনে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।