বাঙ্গালীর শেকড়
- মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা - বিজয় ২৬-০৪-২০২৪

সত্যি কি এত সহজেই চিনে ফেলেছি বাঙ্গালীর শেকড়!
শুকনো ফুলের মতো দূর্বল বাঁধনে
যারা আছে আনাচে কানাচে লাল-সবুজ প্রান্তর।

হার ভাঙ্গা পরিশ্রম করা মানুষের মূল্য কি আছে এই খরস্রোতা জল?
শহরে বসে উঁচু দালানে কিংবা অফিস আদালতে
যারা আপনাকে ভাবে জাতির মহিপাল-
হতে পারে তারা জাতির রথি মহারথি, হতে পারে ক্ষমতা ধর-
কিন্তু নয় তারা বাঙ্গালীর শেকড়।

যে শেকড়ের উপর ভরে করে অনায়াসে বেঁচে যায় ক্ষধার্ত্ প্রাণ-
তাদের প্রতি এতো মৌনতা কেন?
নিশব্দে যারা শরীরের ঘাম ফেলে অন্ন বস্ত্র যোগান দেয়-
দু’মঠো্ ভাত দেয়, শাক শবজি দেয় , নিত্য প্রয়োজীন জিনিষ দেয়
ফল ফলাদি শস্যদানা দেয়--

তাদের খামে কেন বেদনার নীল চিঠি !
তাদের জীবনে কেন আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলে আছে?
কতোখানি শব্দে চিৎকার করলে তুমি স্বীকৃতি দিবে
তাঁতী ,কুমার ,জেলে ,কামার, কৃষক ,খেটে খাওয়া মানুষগুলো
বাঙ্গালীর শেকড়।

তোমরা কি জানতে না ?
তোমার কাছে তুমি মূল্যহীন! যদি না তারা যোগান দিত
পেট কি জানে না পেটে কতোটুক ক্ষুধা লেগে আছে?
কতোটুকু পূর্বাভাস আছে,কতোটুকু আছে তুমি বাঁচবে তাদের ছাড়া?
শরীরের অঙ্গগুলে স্তব্ধ হয়ে আসবে- হে ক্ষমতাধর রথি মহারথি।

একবার ভাব, বিবেক খুলে ভাব
আসলে বাঙ্গালীর শেকড় কে ?
তোমরা! না জেলে তাঁতী কামার কুমার খেটে খাওয়া বাংলার কৃষক।
---------------------------------------১৮-০৬-২০২০ ইং, রাওনাট,কাপসিয়া,গাজীপুর।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।