অবসাদ
- স্বপন চক্রবর্তী ২৮-০৩-২০২৪
তীব্র আলোর ঝলকানি, চশমা ঢাকা মুখ,
দূর থেকে যে দেখা, সবটা শুধুই সুখ ।
ভিতরঘরে তখন আগুন, খসে পড়ছে ছাত,
পায়ের নিচে মেঝেয় ফাটল,গভীর অকস্মাৎ।
দিন প্রতিদিন বাড়ছে ক্ষত, অন্ধকারের বাঁক,
পথ হারানো স্বপ্ন দিচ্ছে মৃত্যু দেশে ডাক ।
হারিয়ে দেবে বলেই ছিল তাবড় তাবড় ফাঁদ,
শত লক্ষ লাঞ্ছনাও খবর থেকে বাদ ।
পাহাড় যেমন ঘোমটা মেঘে লুকায় গিরিখাত,
সাদা কালো মনও ঢাকে, তার গোপন বিষাদ ।
হোঁচট খেয়ে সামলে নিতে, সবাই পারেনা সবটা।
বিষণ্ণতার আঁধার যেদিন দেয়ালে দেয়ালে ঝাপটা,
অসম ছিল, বাঁচার তাগিদ নিজেই করেছে খোঁজ,
দরজার পারে বন্ধুর ডাক, কান পেতে ছিল রোজ ।
চলে গেলো বলেই না এতো কলরব।
কাগজে কলমে এতো হাঁক-ডাক, অকাল বৃষ্টি ।
না হলে তো সেই ঘষটানো কাঁচ, যেমনটা ছিল সব,
কিছু ভাঁড়ামো বিচার, ধাক্কাধাক্কি ঘাড়, ছিল বাকি।
তার চেয়ে সেই একলা নাবিক, মাস্তুল ভেঙে তার ডুবন্ত জাহাজ ।
বিকেল ধরেছে জানলার শিক, আকাশেরও আজ মেঘলা সাজ।
শিক্ষা যেটুকু পাওয়া গেলো সেটা থাক,
বিপদের দিনে বন্ধুই দরকার।
মৃত্যুর আগে পাড়ার পাশে পাড়াই দাঁড়িয়ে যাক,
ঘোর দুর্দিনে মানুষের সাথে দেখা হোক এইবার।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।