লড়ে যায় গরীব
- মিটু সর্দার ১৯-০৪-২০২৪

সোনার বাংলায় ভরপুর সোনার চোর
উদিত হতে দেয়না সোনালী ভোর।
মাইক্রোফোন হাতে নেতা বলে মরবে না কেউ ভাতে
আয় বাড়িয়ে তিনগুণ বাড়িয়েছি ক্রয়ক্ষমতা, অজাত থেকে উঠিয়েছি জাতে
তাই মরবে না কেউ ভাতে।
রসায়নে পিএইচডি দায়িত্বে তথ্য মন্ত্রী
এমন তথ্য দেন বাস্তবতার সাথে নেই কোন লেনদেন।
৭৪ এর দুর্ভিক্ষ দেখিনি
দেখেনি অনাহারে সাড়ে চার লক্ষ মানুষের মৃত্যু
দুর্ভিক্ষের কথা মনে করিয়ে দেয় জয়নুল আবেদীনের আঁকা চিত্র।
আর্তনাদের ধ্বনি আজ-ও বাংলার আকাশে বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয়
সেইদিন বাংলার কোন এমপি, মন্ত্রী এবং নেতা ক্ষুধার পীড়ায় মারা যায়নি
মারা গিয়েছিল খেটেখুটে খাওয়া মানুষ গুলো
দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করা মানুষ গুলো।
অভুক্ত মা, বুকে দুধ নেয়, দুগ্ধ পান করা শিশু ধাপড়াতে ধাপড়াতে মায়ের চোখের সামনে চলে গেলো পরপারে।
অবুঝ শিশু বুঝতে পারেনি মা মৃত না জীবিত
বুকের পাঁজরে শুয়ে পান করছে দুগ্ধ
এমন নিদারুণ নিষ্ঠুর নির্মম দৃশ্য
আঁচড় কাটেনি হৃদয়ে, দরিদ্রদের রক্তে যারা মেতেছিল তিনবেলা আহারে।
আমি দেখেছি ২০২২ সালকে
ক্ষুধার জ্বালায় একজন আরেকজনেকে খামচে ধরতে
ত্রানের খাবার নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মারা যেতে।
এই শহরের চারপাশে এখন হাহাকার, ক্ষুধার্ত মানুষের আহাজারি, প্রাণ বিসর্জনের ছড়াছড়ি
দুর্বলের উপর সবলের হাতাহাতি, দুর্বলে দূর্বলে লাথালাথি।
যতো মুখ ততো খাবার দেয়নি ওঁরা
ত্রাণের নামে বজ্জাতি, রাজনীতির কারসাজি
দুমুঠো দিয়ে অন্ন দাতার আসন পেতে হন্ন।
ত্রাণের ট্রাক দ্যাখে মনে হয় বাদ যাবেনা কেউ
ত্রাণ যে থাকে ট্রাকের তলায়, ট্রাক দেখিয়ে শুধু মন গলায়।
নেতা দেয় ভাষণ, চোখ রাঙিয়ে করে শাষণ
ভুলে যায় নেতা তারা-ই ছিলো আজকের এই ভূষণ
ভূষণ করেন নেতারা শোষণ, অন্তরায় প্রতিহিংসা পোষণ
মাইক ফাটিয়ে বলেন, ত্রাণ নিতে চলেন।
ট্রাকের তলার ত্রাণ, আনতে গিয়ে যায় গরীবের প্রাণ
বেঁচে থাকার যুদ্ধে লড়ে যায় গরীব কষ্ট চেপে বক্ষে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।