হৃৎপিণ্ড
- মিটু সর্দার ২৪-০৪-২০২৪

স্রস্টার সৃষ্টি শ্রেষ্ঠ দান, স্রস্টা-ই মহান
ঘড়ির কাঁটার মতো টিকটিক করে চলে।
ওজনে দুইশো পঞ্চাশ থেকে তিনশো পঞ্চাশ গ্রাম
পুরো পৃথিবী বিক্রি করলেও হবেনা তার দাম।
এতো দামী বস্তু দিয়েছেন যিনি, তাকে মোরা কতটুকু চিনি
পয়ত্রিশ বছর যাবৎ চলছে, ধুকপুক করে নড়ছে।
ধারণ ক্ষমতা অসীম, বয়ে চলে বহুদূর
ক্লান্তিতা আসে না কভু, এ ক্ষমতা দিয়েছেন মহান প্রভু।
অন্যের ব্যাথায় ব্যাথিত, অন্যের সুখে প্রফুল্লিত
স্রস্টার সৃষ্টি কাঁড়ে চোখের দৃষ্টি, আহ! কি নিদারুণ সৃষ্টি।
ছান্দিক গতিতে স্পন্দিত হয়ে সারা দেহে সঞ্চালিত করে রক্ত
এমন স্রস্টার পতাকা ধরো দু'হাত করে শক্ত।
খুঁত খুজতে যেওনা স্রস্টার, তার সৃষ্টি নিখুঁত
আছে কার বুকের পাটা চুল পরিমাণ ধরবে ভুল।
মিনিটে সত্তুর থেকে আশি বার করে ধুকপুক
তারপরও বলি ধরেছে ব্যাধি, পাইনা সুখ।
মাটির দেহে বসিয়েছেন দামী পাম্প
দূষিত রক্ত দোষমুক্ত করে সরবরাহ তার কাম।
আকাশ-পাতাল বিক্রি করে পাবে যা দাম
নিতে পারবে না মুখে মহাশিরা ক্রয়ের নাম।
ডান অরিকল থেকে ডান নিলয় মধ্যখানে অনেক
সেইগুলোর দাম কেমন হবে, আছে কি ব্যাংক ব্যলেন্স?
মহাধমনী থেকে শীর্ষ অঞ্চল মধ্যখানে অনেক
যিনি দিয়েছেন এতোকিছু, হেঁটেছেন কি কভু তার পিছু?
এমন স্রস্টা দ্বিতীয়টি আর পাবে না খোঁজে
এই রকম একটি হৃৎপিণ্ড বক্ষে দিবে গুঁজে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।