তুমিও পারবে
- মিটু সর্দার ২৯-০৩-২০২৪

বাঁধন হারা ধন ফেরাতে করেছিলে সাধন
দশ জাতের তরকারি করেছিলে রাধন
জায়নামাজে বসে এখন করো আরাধন
যদি কভু ফিরে আসে মোর বাঁধন হারা ধন।

আষ্টেপৃষ্টে খায়ে ছিলে, ভর্তা থেকে রোস্ট
খানার প্রশংসা পঞ্চমুখ আমি যাদের বংশোদ্ভূত
সিংহাসনে করে আরোহন দমাতে চেয়েছিলে রোদন
কি করে ভাবলে নিজকে করে নিবো সংশোধন।

কথা দিয়েছিলাম যা, পালন করবো তা
ভিতরে লুকিয়ে রেখেছি অন্তর পুড়া ঘা
লুটোপুটি খাবে সুখ দুর হবে সকল দুখ
আনন্দে কল্লোলিত হবে তোমার বেদনার্ত বুক।

চৈত্রের তপ্ত রোদে শুকিয়ে যায় ঝিল
বৃষ্টির তরে রোদন করে বাড়ির পাশের বিল
ভালা ভালা খায়ে দিলেই কি হবে মনের সাথে মনের মিল
আমি অদম্য মুক্তমনা বন্দী করতে পারবে না কোন পরোয়ানা।

বললো হেঁসে আমার গোত্র, জন্ম দিলে ক্যামন পুত্র
অন্তরায় নেই মান্যগণ্য, ভাবে বোধহয় বাজারের পন্য
ধন্য হবো ক্যামন করে, গোত্রের কান কাটে হাঁটে
বন্ধ করো আলাপন, জাগবে হৃদয়ে সম্মোহন।

কথার ছলে কথা বাড়ে গড়িয়ে যায় বহুদূর
কার তরে কাঁদবে হৃদয়, হবেনা কভু সদয়
তিক্ততায় ভরা ঝরা বকুলের মতো মরা
বজ্রপাতের মতো গর্জন, করতে পারবে না অর্জন।

ভবে কলঙ্কিত করলে যারে, পড়লে এসে তাঁর ঘাড়ে
ঘাড় কি হবে সোজা, ঘাড়ের ওপর এতো বোঝা
নয়তো আমি এমন বোকা, ধোঁকার উপর আছে পোকা
দিনশেষে আধার, খেলা দ্যাখবো কৃষ্ণ-রাধার।

খেয়ে গরম ভাতে শিং মাছের ঝোল
ঠেলেঠুলে করবে এক কূল যেন প্রস্ফুটিত ফুল
মাসের পর মাস যাবে বছরের পর বছর
দ্যাখবো আমি কোত্থেকে আসে বেঁচে থাকার রসদ।

ভেবে ছিলে অঝোর ধারা বৃষ্টির মতো সুখ ঝরে পড়বে তোমার আঙ্গিনায়
কাগজের নৌকা বানিয়ে ভেসে বেড়াবে বৃষ্টির জলে
পা ভিজিয়ে, গা ভিজিয়ে নৃত্য করবে
উঠোনের ঠিক মধ্যখানে বৃত্ত এঁকে সুখের তরী বেঁধে রাখবে ঘাটে।

যাঁরা তোমার গুণ গেয়ে খেয়ে এসেছিলো দেশীয় মুরগির রোস্ট, কাচ্চিবিরিয়ানি কিংবা চিকেন ফ্রাই
তারা সকলে রাখবে তোমার খোঁজ
বৃথা যেতে দেবে না অতি আদরের ভোজ
শত হলেও বেয়াইর বাড়ির আথিতেয়তা, মিলে কি আর যথাতথা।

নির্ঘুম রাত্রির দহন কতোটা বিষাদময়
একাকিত্ব কতোটা ভয়ঙ্কর, খর, বিভৎস তা কেবল
ভুক্তভোগী অনুধাবন করতে পারে, তুমিও পারবে
একাকিত্বের শরাব পান করতে, বিভৎস রাত জাগতে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।